পাবনায় ভুয়া চিকিৎসকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

পাবনায় ভুয়া চিকিৎসকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

ছবিঃ আলমগীর হোসেন

পাবনা প্রতিনিধি

সনদ নেই। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব চেম্বার খুলে চক্ষু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র লিখে দিতেন আলমগীর হোসেন। শুধু তাই নয়, লোকজন দিয়ে ওই চেম্বার থেকেই ওষুধও বিক্রি করাতেন তিনি।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় পৌর সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এভাবে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন তিনি। রোববার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে প্রতারণার অভিযোগে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই কথিত চক্ষু চিকিৎসককে জরিমানা করেছেন পাবনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল সাদাত রতœ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জিরো পয়েন্ট এলাকায় নিজস্ব চেম্বার খুলে চিকিৎসক না হয়েও তিনি রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কথিত চক্ষু চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের চেম্বারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মেডিকেলে পাস না করেও রোগীদের ব্যবস্থাপত্র লেখা ও অনুমোদনহীন ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ধারা ২২ উপধারা ১-এর শর্ত ভঙ্গ করায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পনেরো দিনের কারাদন্ডের আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে জরিমানার টাকা দিয়ে মুক্ত হন দন্ডপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন। অভিযান পরিচালনার সময় পাবনা জেলা এনএসআইর সহকারী পরিচালক এইচএন ইমরান, চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ওæহুল কুদ্দুস ডলারসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রুহুল কুদ্দুস ডলার জানান, আলমগীর হোসেন শুধু চোখের পাওয়ার মেপে চশমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। কিন্তু তিনি রীতিমতো চেম্বার খুলে আয়ুর্বেদিক, এলোপ্যাথি ওষুধের ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। তার সনদ যোগ্যতা অনুযায়ী সেটি করতে পারেন না বলে তিনি জানান।