১৩ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার পেলেন ২০০ পরিবার

১৩ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার পেলেন ২০০ পরিবার

সংগৃহীত

নীলফামারীতে ১৩ টাকায় অসহায় ২০০ পরিবার ঐক্যমতের বাজারে পেলেন ১ হাজার টাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যাগ ভর্তি বাজার।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের আশা কমিউনিটি সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ বাজার বসানো হয়। সেখানে সারি সারি সাজানো চাল ১ টাকা, ডাল ২ টাকা, চিনি ৩ টাকা, মাছ ৫ টাকা মুগরি ৫ টাকা, ১ ডজন ডিম ২ টাকা, কম্বল ৪ টাকা, শীতবস্ত্র ১ টাকা, ছোলা ১ টাকা, তেল ৫ টাকা, লবণ ১ টাকা, আটা ৩ টাকা, সুজি ১ টাকা দিয়ে ১৩ টাকার মধ্যে কিনতে হবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য।

লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের পছন্দ মতো ব্যাগ ভর্তি বাজার করে নিয়ে যান অসহায় মানুষেরা। নিত্যপণ্যের বাজারে লাগামহীন দামের ফলে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিম্ন আয়ের মানুষের। এ সময় বসে বিদ্যানন্দ নামে একটি সংগঠনের ঐক্যমতের বাজার। এই বাজারে ১ থেকে ৫ টাকার মধ্যে বাজার করতে পেরে খুশি অসহায় এসব মানুষ।

বাজার করতে আসা হালিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন সাইকেল মিস্ত্রি। নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে এসব কিছু কেনা আমাদের সাধ্যের বাইরে। এখানে ১ থেকে ৫ টাকায় বাজার করে নিয়ে যাচ্ছি। আমার খুব ভালো লাগতেছে।

আতাউর রহমান বলেন, আমার কোনো ছেলে সন্তান নাই। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। তারা শ্বশুর বাড়িতে থাকে। আজ আমি এখানে কম দামে বাজার পেয়ে খুব খুশি। আমার এ বাজারে প্রায় এক সপ্তাহ খুব ভালোভাবে চলে যাবে।

লাভলী বেগম বলেন, আমি তেল, ডাল, মুরগি, আমার বাচ্চার জন্য কাপড় নিলাম। এখানে কম দামে পেয়ে আমি সত্যি অনেক খুশি। আমি চাই আমাদের জন্য আরও এমন আয়োজন করলে আমাদের উপকার হবে।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। শীতকে সামনে রেখে শীতের পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজীন পণ্য দেওয়া হচ্ছে অসহায় পরিবারের মানুষদের। ঐক্যমতের বাজার থেকে আমরা ওই সব মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছি। সকাল থেকে প্রায় ২০০ পরিবার মাঝে আমরা বাজার দিচ্ছি। মানুষ এখানে এসে তাদের ইচ্ছেমত বাজার করে নিয়ে যেতে পারছেন। এছাড়াও আমরা দেশের বিভিন্ন দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াই৷ গত কয়েকদিন ধরে আমরা বিভিন্ন স্থানে এ ইভেন্ট পরিচালনা করছি। আমি আশাবাদী সুন্দরভাবে শেষ করতে পারব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হাসিব মিয়া, ফাউন্ডেশনের সদস্য অর্পিতাসহ স্বেচ্ছাসেবীরা।