সাহেদের ৯ ব্যাংকে ঋণ খেলাপী

সাহেদের ৯ ব্যাংকে ঋণ খেলাপী

সাহেদ করিম

 

অর্থনীতি ডেস্ক

আলোচিত প্রতারণা মামলায় আটক রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ কারিমের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের বেসরকারি ৯ টি ব্যাংক থেকে মোট ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ঋণ খেলাপী রয়েছে।

টাকার অঙ্কে বড় না হলেও আদায়ে তাঁর পেছনে ঘুরছে বেসরকারি খাতের ৯টি ব্যাংক। টাকা আদায়ে মামলাও হয়েছে।

জানা যায়, প্রথমে ছোট অংকের হিসাব খুলতো। এর পর ক্রেডিট কার্ড এবং ঋণের জন্য আবেদন করতো। এভাবে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে তা আর পরিষধ করতো না।

ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতাল ২০১৪ সালে এনআরবি ব্যাংক থেকে ২ কোটি টাকা ঋণ নেয়। পাশাপাশি সাহেদ করিম ব্যাংকটি থেকে ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করেন। এখন ঋণের টাকাও খেলাপি, ক্রেডিট কার্ডের বিলও শোধ করছেন না। ফলে টাকা আদায়ে ব্যাংকটি দুটি মামলা করেছে। এর মধ্যে একটি সুদসহ ঋণের ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা আদায়ে ও অন্যটি ক্রেডিট কার্ডের ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আদায়ে। 

এদিকে, যন্ত্রাংশ কেনার নামে পদ্মা ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ২০১৫ সালে ২ কোটি টাকা ঋণ নেয় রিজেন্ট হাসপাতাল। কিন্তু সেই টাকা আর শোধ করা হয়নি। ব্যাংকটি এখন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) নথি পাঠিয়েছে। 

পূবালী ব্যাংক থেকে ১৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনেন সাহেদ করিম। আবার ৫ লাখ টাকা গ্যারান্টি প্রদান করেন। তবে কয়েকটি কিস্তি দেওয়ার পর আর ঋণ শোধ করেননি। তাঁর কাছে ব্যাংকটির পাওনা প্রায় ২০ লাখ টাকা। এখন টাকা আদায়ে ব্যাংকটি মামলা করবে। 

এদিকে রিজেন্ট কেসিএস, রিজেন্ট হাসপাতাল, অলবার্ট গ্লোবাল লিমিটেড, রিজেন্ট আর্কিটেক্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, মো. সাহেদ, মোহাম্মদ সাহেদ নামে ৮টি হিসাব রয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকে। এসব হিসাবে জমা রয়েছে প্রায় ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে বড় অঙ্কের ঋণ প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্যাংকটিতে। তবে ব্যাংকটি তা অনুমোদন করেনি। আর সাহেদ করিম ব্যাংকটি থেকে ক্রেডিট কার্ড নিয়েছিলেন, যার খেলাপি ৮০ হাজার টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকেও তাঁর ১ লাখ টাকা মেয়াদি ঋণ রয়েছে।

এর বাইরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকে ১ লাখ টাকা, ঢাকা ব্যাংকে ৪৪ হাজার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ২৪ হাজার টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে। এর সবই ক্রেডিট কার্ডের। বলে জানা গেছে, যা খেলাপি হয়ে পড়েছে। 

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, হিসাব খুলে ও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করা শুরু করেছিলেন সাহেদ করিম। কোনো কোনো ব্যাংক থেকে টাকাও নিয়েছেন। কোথাও নিজ নামে, আবার কোথাও ভিন্ন নামে। প্রতারণার কারণে ধরা না পড়লে কোনো ব্যাংক বড় বিপদে পড়ে যেত।