ঢাবিতে শেষ হলো সপ্তম নন-ফিকশন বইমেলা

ঢাবিতে শেষ হলো সপ্তম নন-ফিকশন বইমেলা

সংগৃহীত

শেষ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ আয়োজিত সপ্তম নন-ফিকশন বইমেলা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে দুটি বইয়ের লেখককে সম্মাননা দেয়ার মাধ্যমে শেষ হয় এ আয়োজন। 

‘নন-ফিকশন গ্রন্থ সম্মাননা-২০২৩’ ক্যাটাগরিতে এবছর ‘প্লেটো প্রবেশিকা’ বইয়ের জন্য সম্মাননা পান লেখক ও অনুবাদক আমিনুল ইসলাম ভুইয়া এবং ‘শেয়ারিং গ্যাঞ্জেস ওয়াটার’ বইয়ের জন্য সম্মাননা পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। বক্তব্য দেন জুরি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, ফারুক মহিউদ্দিন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ 
গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া এ মেলায় অর্থনীতি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, ইতিহাস, গবেষণা, আত্মজীবনী এমন নানা বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে মেলায় অংশ নেয় দেশের প্রথম সারির মোট ৪১টি প্রকাশনা ও গবেষণা সংস্থা। মেলায় অংশ নেয়া প্রকাশকদের মনোনীত বই থেকে বিচারক প্যানেল ২০২৩ সালের দুটি নন-ফিকশন বই পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, গুণগত মানের দিক থেকে যদি বলি, এই মেলা আমাকে আকৃষ্ট করেছে, সমৃদ্ধ করেছে।  যারা এখানে কথা বলেছে, উপস্থিত হয়েছে, পুরস্কার পেয়েছে এবং মেলার আয়োজন দেখে মনে হয়েছে এখানে প্রত্যেকটি বইয়ের মান ভালো। যারা লেখনীর মাধ্যমে, প্রতিভার মধ্যমে এবং স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন রাষ্ট্র, সমাজকে সমৃদ্ধ করার জন্য, তারা হলেন আজকের সুন্দর মানুষ। যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। 
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, যে দুইজন লেখক আজকে সম্মাননা পেয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানাই শুরুতেই। যে লেখকের বইয়ের শিরোনাম দেখে বুঝা যায় ভিতরে কি লিখেছে সে কোন লেখকই না। আর যে লেখকের শিরোনাম দেখে ভিতরে কি লেখা আছে তার বুঝার উপায় নেই ওই লেখকই আসল লেখক। প্রকৃত তথ্য ভিত্তিক বই আমাদের জন্য প্রয়োজন। এইরকম নন-ফিকশন বইমেলার আয়োজন আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে তথ্য ভিত্তিক বই পড়ার আগ্রহ তৈরি হবে।