করোনার আরো ৬ লক্ষণ

করোনার আরো ৬ লক্ষণ

অব্যাহত কাশি, জ্বর এবং ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়াকে কোভিড-১৯ এর প্রধান তিনটি লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।

কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা করোনা ভাইরাসের ছয়টি আলাদা ধরনের লক্ষণ শনাক্ত করেছেন ।গবেষক দল বলেছেন, করোনা ভাইরাসে কোন রোগী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে তা নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তাদের এই গবেষণা। তাদের মতে, শ্বাস প্রশ্বাসের প্রকট সমস্যা নিয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে যান তার মধ্যে বেশির ভাগই এটা করেন প্রথম লক্ষণ দেয়া দেয়ার প্রায় ১৩ দিন পর। ফলে আগেভাগে, যেমন ৫ দিনের মধ্যে যদি কোন রোগী বেশি ঝুঁকিতে তা নির্ধারণ করা যায়, তাহলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। লন্ডনের অনলাইন ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। কিংস কলেজ লন্ডনের ড. ক্লেয়ার স্টিভেন এই গবেষণার লেখক।

তিনি বলেছেন, যদি আপনি কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, সুগারের মাত্রা নির্ধারণ করতে বা এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারেন, যদি তাকে যথাযথভাবে পানি সরবরাহ দিতে পারেন তাহলে সেটাই হবে হাসপাতালে না নিয়ে বাসায় বসে ভাল যত্ন। এতে অনেক প্রাণ রক্ষা পাবে।

অব্যাহত কাশি, জ্বর এবং ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়াকে কোভিড-১৯ এর প্রধান তিনটি লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তাদের কাছে যে ডাটা আছে তাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অনেক লক্ষণ আছে। যেমন মাথাব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা, অবসাদ, ডায়রিয়া, সংশয়, ক্ষুধা মন্দা এবং শ্বাস প্রশ্বাস ছোট হয়ে আসা।
মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কমপক্ষে ১৬০০ ব্যক্তির ডাটা সংগ্রহ করে তার ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা এই ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন। এতে করোনা ভাইরাসে

আক্রান্ত হওয়ার ৬ রকম লক্ষণ শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. জ্বরহীন ফ্লুর মতো: এতে থাকবে মাথাব্যথা। ঘ্রাণশক্তি হারাবে। মাংসপেশিতে ব্যথা থাকবে। কাশি থাকবে। গলা ব্যথা হবে। বুকে ব্যথা হবে। তবে জ্বর থাকবে না।

২. জ্বরসহ ফ্লুর মতো: এতে থাকবে মাথাব্যথা, ঘ্রাণশক্তি থাকবে না, কাশি থাকবে, গলা ব্যথা থাকবে, ম্যাজমেজেভাব থাকবে, জ্বর থাকবে, থাকবে ক্ষুধামন্দা।

৩. গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল: মাথা ব্যথা থাকবে। ঘ্রাণশক্তি থাকবে না। ক্ষুধা মন্দা থাকবে। ডায়রিয়া থাকবে। থাকবে গলা ও বুক ব্যথা। তবে কাশি থাকবে না।

৪. ভয়াবহতার মাত্রা ১, অবসাদ: এক্ষেত্রে থাকবে মাথাব্যথা। ঘাণশক্তি হারাবে। কাশি, জ্বর, কণ্ঠে কর্কশতা থাকবে। বুকে ব্যথা থাকবে। অবসাদ দেখা দেবে।

৫. ভয়াবহতার মাত্রা ২, সংশয়: এক্ষেত্রে মাথা ব্যথা থাকবে। ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হবে। ক্ষুধামন্দা দেখা দেবে। কাশি, জ্বর দেখা দেবে। কণ্ঠ কর্কশ হয়ে উঠবে। গলা ও বুকে ব্যথা হবে। অবসাদ দেখা দেবে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। থাকবে মাংসপেশির ব্যথা।

৬. ভয়াবহতার মাত্রা ৩, পেট ও শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত: এক্ষেত্রে মাথা ব্যথা থাকবে। ঘ্রাণ ও ক্ষুধা মন্দা দেখা দেবে। থাকবে কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, বুকে ব্যথা, অবসাদ, সংশয়, মাংসপেশিতে ব্যাথা। শ্বাস প্রশ্বাস সংক্ষিপ্ত হয়ে আসবে। দেখা দেবে ডায়রিয়া, সঙ্গে পেটে ব্যথা।

 

কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা করোনা ভাইরাসের ছয়টি আলাদা ধরনের লক্ষণ শনাক্ত করেছেন ।গবেষক দল বলেছেন, করোনা ভাইরাসে কোন রোগী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে তা নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তাদের এই গবেষণা। তাদের মতে, শ্বাস প্রশ্বাসের প্রকট সমস্যা নিয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে যান তার মধ্যে বেশির ভাগই এটা করেন প্রথম লক্ষণ দেয়া দেয়ার প্রায় ১৩ দিন পর। ফলে আগেভাগে, যেমন ৫ দিনের মধ্যে যদি কোন রোগী বেশি ঝুঁকিতে তা নির্ধারণ করা যায়, তাহলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। লন্ডনের অনলাইন ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। কিংস কলেজ লন্ডনের ড. ক্লেয়ার স্টিভেন এই গবেষণার লেখক।

তিনি বলেছেন, যদি আপনি কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, সুগারের মাত্রা নির্ধারণ করতে বা এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারেন, যদি তাকে যথাযথভাবে পানি সরবরাহ দিতে পারেন তাহলে সেটাই হবে হাসপাতালে না নিয়ে বাসায় বসে ভাল যত্ন। এতে অনেক প্রাণ রক্ষা পাবে।

অব্যাহত কাশি, জ্বর এবং ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়াকে কোভিড-১৯ এর প্রধান তিনটি লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তাদের কাছে যে ডাটা আছে তাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অনেক লক্ষণ আছে। যেমন মাথাব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা, অবসাদ, ডায়রিয়া, সংশয়, ক্ষুধা মন্দা এবং শ্বাস প্রশ্বাস ছোট হয়ে আসা।
মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কমপক্ষে ১৬০০ ব্যক্তির ডাটা সংগ্রহ করে তার ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা এই ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন। এতে করোনা ভাইরাসে

আক্রান্ত হওয়ার ৬ রকম লক্ষণ শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. জ্বরহীন ফ্লুর মতো: এতে থাকবে মাথাব্যথা। ঘ্রাণশক্তি হারাবে। মাংসপেশিতে ব্যথা থাকবে। কাশি থাকবে। গলা ব্যথা হবে। বুকে ব্যথা হবে। তবে জ্বর থাকবে না।

২. জ্বরসহ ফ্লুর মতো: এতে থাকবে মাথাব্যথা, ঘ্রাণশক্তি থাকবে না, কাশি থাকবে, গলা ব্যথা থাকবে, ম্যাজমেজেভাব থাকবে, জ্বর থাকবে, থাকবে ক্ষুধামন্দা।

৩. গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল: মাথা ব্যথা থাকবে। ঘ্রাণশক্তি থাকবে না। ক্ষুধা মন্দা থাকবে। ডায়রিয়া থাকবে। থাকবে গলা ও বুক ব্যথা। তবে কাশি থাকবে না।

৪. ভয়াবহতার মাত্রা ১, অবসাদ: এক্ষেত্রে থাকবে মাথাব্যথা। ঘাণশক্তি হারাবে। কাশি, জ্বর, কণ্ঠে কর্কশতা থাকবে। বুকে ব্যথা থাকবে। অবসাদ দেখা দেবে।

৫. ভয়াবহতার মাত্রা ২, সংশয়: এক্ষেত্রে মাথা ব্যথা থাকবে। ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হবে। ক্ষুধামন্দা দেখা দেবে। কাশি, জ্বর দেখা দেবে। কণ্ঠ কর্কশ হয়ে উঠবে। গলা ও বুকে ব্যথা হবে। অবসাদ দেখা দেবে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। থাকবে মাংসপেশির ব্যথা।

৬. ভয়াবহতার মাত্রা ৩, পেট ও শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত: এক্ষেত্রে মাথা ব্যথা থাকবে। ঘ্রাণ ও ক্ষুধা মন্দা দেখা দেবে। থাকবে কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, বুকে ব্যথা, অবসাদ, সংশয়, মাংসপেশিতে ব্যাথা। শ্বাস প্রশ্বাস সংক্ষিপ্ত হয়ে আসবে। দেখা দেবে ডায়রিয়া, সঙ্গে পেটে ব্যথা।