ষষ্ঠ-সপ্তমের রিপোর্ট কার্ড বিষয়ে মাউশির নতুন নির্দেশনা

ষষ্ঠ-সপ্তমের রিপোর্ট কার্ড বিষয়ে মাউশির নতুন নির্দেশনা

ফাইল ছবি

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এবার প্রথমবারের মতো নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান করা হয়। বছর শেষে বার্ষিক পরীক্ষার বদলে নেয়া হয় সামষ্টিক মূল্যায়ন। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে এতে অংশ নেয়। গত ৩০ নভেম্বর মূল্যায়ন শেষ হলেও অনেক স্কুল এক মাসেও মূল্যায়নের রিপোর্ট কার্ড বা ফল প্রকাশ করতে পারেনি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

ফল প্রকাশ করতে না পারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের অ্যাপ ‘নৈপুণ্যে’ তথ্য অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তারা ষষ্ঠ-সপ্তমের রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতে বিপাকে পড়েছেন।

এদিকে, নৈপুণ্য অ্যাপের জটিলতায় যারা রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে পারেননি, তাদের ম্যানুয়ালি রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আগামী রোববারের (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যেই এ রিপোর্ট কার্ড শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশও দিয়েছে অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা আদেশে বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের পারদর্শিতা নির্দেশক (পিআই) ও আচরণিক নির্দেশক (বিআই) সংক্রান্ত ডাটা অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সফলভাবে ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপে ইনপুট দিয়ে ট্রান্সক্রিপ্ট ও রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে প্রিন্ট করতে সক্ষম হয়েছে।

যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপ ব্যবহার করে এখনো রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে পারেনি, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আপাতত ম্যানুয়ালি রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মূল্যায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে রিপোর্ট কার্ড হস্তান্তর করবে।

আপাতত শিক্ষার্থীদের ম্যানুয়ালি প্রস্তুত করা রিপোর্ট কার্ড হস্তান্তর করা হলেও এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নৈপুণ্য অ্যাপ ব্যবহার করেই মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।