তাপমাত্রা কমেছে কুড়িগ্রামে, শীতের প্রকোপ বাড়ায় দুর্ভোগ চরমে

তাপমাত্রা কমেছে কুড়িগ্রামে, শীতের প্রকোপ বাড়ায় দুর্ভোগ চরমে

সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা কনকনে ঠান্ডা ও উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৩-৪ দিন ধরে তাপমাত্রা দ্রুত কমে ঠান্ডার মাত্রা অনেকগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে উত্তরের এই জনপদের মানুষজন।

রাতভর বৃষ্টির মত কুয়াশা টিপটিপ করে পড়তে থাকে। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও সূর্যের মুখ দেখা যায় না। এ অবস্থায় যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিনের বেলায়ও কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়েও রাস্তায় অনেক যান চলাচল করছে। 

বুধবার সকাল নয়টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, আজ তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যা এবছরে সর্বনিম্ন এ জেলার তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রা আরো কমবে এবং দ্রুত মৃদু শৈত্য প্রবাহ কিংবা মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহের আশংকা করা হচ্ছে বলে জানান এ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।

তিনি বলেন, আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এখন জানুয়ারি মাসে শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার আশংকা রয়েছে।

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে তীব্র শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা কাহিল হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না কেউই। কাজে যেতে সাহস পাচ্ছেন না দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণি পেশার মানুষজন।

ধরলা নদী পাড়ের কচাকাটা এলাকার দিনমজুর কয়ছার আলী বলেন, গতকাল থেকে কাজে যেতে পারছিনা।যেরকম ঠান্ডা পড়ছে এতে কাজ করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তবুও পেট বাঁচাতে কাজে যেতেই হবে। শহরের পৌর বাজার এলাকার ভ্যান চালক ছকমল মিয়া বলেন, 'গাড়ি আনি ফেলে থুছি ফায়ার সার্ভিসের সামনত। এ্যালা কাইও মাল টানতে বলেও না হামারও তাগদ কুলায়না এত ঠান্ডাত। তাও বাচ্চা কাচ্চা পরিবারের জন্য গাড়ি বের করচি।'

এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে এ বছরের শীতে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।