লালমনিরহাটে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, দুর্ভোগে ছিন্নমূল

লালমনিরহাটে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, দুর্ভোগে ছিন্নমূল

সংগৃহীত

লালমনিরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার কারণে বেড়েছে ঠাণ্ডার প্রকোপ। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই বাধ্য হয়ে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই বের হচ্ছেন কাজে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষেরা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলবাসীরা।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। এ অবস্থায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসছে কনকনে ঠাণ্ডা।

সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের চিনাতুলি এলাকার লিয়াকত আলী জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে ঠাণ্ডায় ভুগছি। রাত হলে ঠাণ্ডা বেড়ে যায়। খুব বেশি গরম কাপড় নাই। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।

জেলা শহরের রিকশাচালক সদর উপজেলার আজিজুল বলেন, আমি শহরে রিকশা চালাই। সন্ধ্যার পর থেকে আর রিকশার হ্যান্ডেল ধরা যায় না। কনকনে ঠাণ্ডায় যাত্রীও পাওয়া যায় না। শীত না যাওয়া পর্যন্ত খুব কষ্টে আছি।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় জেলায় এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার যা ছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে ২০ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণ চলমান রয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আরও কম্বলের বরাদ্দের চিঠি পাওয়া গেছে। এগুলো হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।