বগুড়ার ৯৬৯টি ভোট কেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ

বগুড়ার ৯৬৯টি ভোট কেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ

ফাইল ছবি

বগুড়া জেলার সাতটি আসনে ৯৬৯টি ভোট কেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ (গুনরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সারিয়াকান্দি চরাঞ্চলের ২০টি কেন্দ্রসহ মোট ৬৬২টি কেন্দ্র এ তালিকায় রয়েছে। এসব কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হবে- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ায় সাতটি সংসদীয় আসনের ৯৬৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ৬৬২টিকে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) ও ৩০৭ টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে সাতটি আসনেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের (গুরুত্বপূর্ণ) তালিকা করা হয়েছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কারণ এসব আসনে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। এছাড়া সারিয়াকান্দি চর এলাকায় ২০টি কেন্দ্র রয়েছে। এসব উপজেলা শহর থেকে দূরে এবং দুর্গম এলাকা। যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। 

জানা গেছে, বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ২৮ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৯ জন। পুরুষ ভোটার ১৪ লাখ ৪ হাজার ৩০৯ জন। তাছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৬ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার বেড়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭২০ জন। সেই হিসেবে এবার জেলায় ভোটকেন্দ্রও বেড়েছে।

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ১০৯ জন, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ৩ লাখ ২৬ হাজার ১৮৬ জন, বগুড়া-৩ (আদমদিঘী- দুপচাঁচিয়া) আসনে ৩ লাখ ২২ হাজার ১৬৭ জন,বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৮ জন, বগুড়া-৬ সদর আসনে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪২ জন ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে ৫ লাখ ১২ হাজার ২৫৮ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এবারের নির্বাচনে আমরা বগুড়ার সকল কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছি। ভোটের দিন প্রতি কেন্দ্রে  ১২ জন আনসার ও ২ জন পুলিশ সদস্য থাকবে। এছাড়া ১৫০ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম, ২২ প্লাটুন বিজিবি, ২৮টি সেনাবাহিনীর পেট্রোল টিম,  ৩৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এখন পর্যন্ত জেলায় সকল আসনে ভোটের খুব ভালো পরিবেশ রয়েছে। আশা করছি ৭ জানুয়ারি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট উপহার দিতে পারবো।