চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছেছে ভারতের সৌর মিশন আদিত্য এল-১

চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছেছে ভারতের সৌর মিশন আদিত্য এল-১

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রথম সৌর পর্যবেক্ষণ মিশন আদিত্য এল-১ তার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছেছে। শনিবার মিশনটি মহাকাশের টার্গেটেড পয়েন্ট পৌঁছয় যেখান থেকে এটি অবিচ্ছিন্নভাবে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।

মহাকাশযানটি ২ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরুর পর থেকে চার মাস ধরে সূর্যের দিকে ভ্রমণ করছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে প্রথম অবতরণের ইতিহাস গড়ার কয়েকদিন পরেই এই সৌর মিশনটি চালু করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিশনটিকে ‘একটি যুগান্তকারী’ এবং ‘অসাধারণ কীর্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এক্স-এ মোদি বলেছেন, ‘এটি সবচেয়ে জটিল। আর জটিল এই মহাকাশ মিশন বাস্তবে রূপদান আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রমের প্রমাণ।’

সৌরজগতের সবচেয়ে বড় বস্তু নিয়ে গবেষণার জন্য ভারতের প্রথম মহাকাশ মিশনের নামকরণ করা হয়েছে হিন্দুদের সূর্য দেবতা আদিত্যের নামানুসারে। আর এল-১ মানে হলো ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট ১ যা সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে সঠিক স্থান যেখানে মহাকাশযানটি এখন পৌঁছেছে।

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট হল মহাকাশের এমন একটি জায়গা, যেখানে সূর্য ও পৃথিবীর মতো দুটি বিশাল ভরযুক্ত জিনিসের মাধ্যাকর্ষীয় টানের মধ্যে ভারসাম্য থাকে এবং সেখানে অবস্থান করতে পারে মহাকাশযানের মতো ছোট কোনও জিনিস। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই পয়েন্ট থেকে সূর্যকে বাধাহীনভাবে দেখা যাবে।

এল-১ পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিমি (৯ লাখ ৩২ হাজার মাইল) দূরে অবস্থিত, যা পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের ১ শতাংশ।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আদিত্যকে এল-১ এর কক্ষপথে স্থাপন করার জন্য শনিবার ভারতের সময় প্রায় সকাল সাড়ে ১০টায় চূড়ান্ত কৌশল চালানো হয়েছিল।

ইসরো প্রধান এস সোমানাথ এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, সংস্থাটি নৌযানটিকে কক্ষপথে আটকে রাখবে এবং মাঝে মাঝে এটিকে ঠিক রাখতে আরও কৌশল চালাতে হবে।

আদিত্য এল-১ একবার এই ‘পার্কিং স্পটে’ পৌঁছলে এটি পৃথিবীর মতো একই গতিতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পারবে। এই বিন্দু থেকে এটি সূর্যকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এমনকি সূর্য গ্রহণ ও সমাবরণের সময়ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাতে পারবে।