ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা

ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা

সংগৃহীত

ইকুয়েডরে দেশজুড়ে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ-নিরাপত্তা কারাগার থেকে মাদক চক্রের কুখ্যাত নেতা ফিটোর পালিয়ে যাওয়া এবং সহিংসতায় জর্জরিত দেশটির কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ার কারণে এ জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করা ড্যানিয়েল নোবোয়া ইকুয়েডরের রাস্তা এবং কারাগারে আগামী দুই মাসের জন্য সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাথে সাথে কারাগার থেকে পালানো দেশটির কুখ্যাত অপরাধী জোসে অ্যাডলফো ম্যাকিয়াস ওরফে ফিটোকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, আগামী ৬০ দিন রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, জরুরি অবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব পালনের সময় সব ধরনের রাজনৈতিক এবং আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ইকুয়েডরবাসীর জন্য শান্তি ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আমরা কোনো আলোচনা করব না বা বিশ্রামে যাব না।

গত রোববার শক্তিশালী গ্যাং লস কোনেরসের নেতা ফিটো পালিয়ে যান। গুয়াকিলের বন্দর নগরীতে একটি কারাগার পরিদর্শনকালে পুলিশ জানতে পারে যে, ওই কুখ্যাত অপরাধী পালিয়ে গেছেন।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র রবার্তো ইজুরিয়েটা বলেন, ৪৪ বছর বয়সী এই অপরাধী তার সঙ্গে থাকা কারাগারের অন্য বন্দিদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। এরপর পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি পালিয়ে যান।