আবারো শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নূরুল মজিদ

আবারো শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নূরুল মজিদ

ছবিঃ সংগৃহিত।

আবারো শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। পঞ্চমবারের মতো নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আবারো মন্ত্রিসভায় ডাক পান তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান।

বুধবার সন্ধ্যায় তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মঈন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন ও মেগা প্রকল্পগুলো সুন্দরভাবে সম্পাদন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুডবুকে নাম থাকায় মন্ত্রিসভার তালিকায় নাম এসেছে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী দু:সময়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সফল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পাওয়ায় নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহলে আনন্দের বন্যা বইছে।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। উনার দাদা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা শুক্কুর মাহমুদ ১৯২৩ সালে অবিভক্ত বাংলার ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর থেকে পরবর্তী প্রজন্ম নরসিংদীর মনোহরদী ও বেলাব উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। সেই ধারায় এই এলাকায় উন্নয়নে ১০০ বছর পূর্ণ করে ফেলল মজিদ পরিবার। 

এ পরিবারের উদ্যোগে দুই উপজেলায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ নানা উন্নয়ন কাজ হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী নিজ অর্থে পিতা অ্যাডভোকেট এমএ মজিদের নামে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন করে দিয়েছেন।

আজীবন এলাকার মানুষদের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করে যাওয়া আওয়ামী লীগের পোড়খাওয়া প্রবীণ এই নেতা ১৯৮৬ সালে প্রথম নরসিংদী-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হন। পরে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। 

তারপর ২০০৮ সাল থেকে টানা ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরপর ৪ বার এ আসনের ভোটাররা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাকে নির্বাচিত করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শিল্পমন্ত্রী হুমায়ূন। এরপর দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে স্প্লিন্টার বহন করে জীবনযাপন করে যাচ্ছেন।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি হুমায়ূনকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন। ৫ বছরে তিনি সফলভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।

কৃষকদের কল্যাণে এ মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ পলাশ ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা নির্মাণ করেছেন। নরসিংদীতে সম্প্রসারিত বিসিক শিল্পনগরী উদ্বোধন, পুরাতন ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে ঢাকার বাহিরে নেওয়া, মুন্সীগঞ্জে বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্টিয়াল পার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন, গজারিয়াতে ঔষধ শিল্পের বিকাশে ইপিআই পার্ক স্থাপন, ১০ জেলায় বিএসটিআই অফিস স্থাপন ও ২৬ জেলায় অফিসের কাজ চলমান, সার বিতরণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাফার গোডাউন নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। গত ১৫ বছরে মনোহরদী ও বেলাব উপজেলায় কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন।