এবার ইয়েমেনে হামলা শুরু যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের

এবার ইয়েমেনে হামলা শুরু যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের

সংগৃহীত

ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হাউছি যোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এই প্রথমবারের মতো এই গ্রুপের সদস্যদের ওপর হামলা করা হলো। হাউছিরা এর প্রতিশোধ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স।

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ওপর ইসরাইলের আক্রমণ বন্ধ করার দাবিতে টানা দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে ইসরাইলের সাথে সম্পর্কিত জাহাজগুলোর ওপর এ হামলা চালাচ্ছিল হাউছিরা। এসব টানা হামলা চালানোর পর এখন হাউছিদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালাচ্ছে ব্রিটিশ ও মার্কিনি সেনারা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তা।

বার্তাসংস্থা এপিও জানিয়েছে, হুথিদের ব্যবহৃত সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা হামলা চালাচ্ছে এ দুই দেশের সেনারা।

হুথির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজধানী সানায় ‘শত্রুদের হামলা’ চলছে। সানার এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তিনি তিনটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ২০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুথিরা। এরপরই এ হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। তবে হুথিদের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়- তাদের এ হামলার পাল্টা হামলার জবাব দেবে তারা।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওইদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ বর্বর হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েলের জাহাজে হামলা চালানো শুরু হুথি বিদ্রোহীরা। তবে তাদের এ হামলার কারণে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় বড় বড় কোম্পানিগুলো। এতে করে বিশ্ব বাণিজ্যে বড় প্রভাব পড়ে।

এসব বিষয় বিবেচনা করে হুথিদের হামলা বন্ধ করার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু এতে কর্ণপাত করেনি হুথিরা। তারা উল্টো জানায়, যতদিন গাজায় বর্বরতা চলবে ততদিন তাদের এসব হামলা অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এমন সরাসরি হামলার পর এখন হুথিরা কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।