পদ্মা-মেঘনা নদী গর্ভে দুটি স্কুল বিলীন

পদ্মা-মেঘনা  নদী গর্ভে দুটি স্কুল বিলীন

চাঁদপুর এবং শরীয়তপুরে মেঘনা -পদ্মায় ক্ষতিগ্রস্থ দুটি স্কুল

পদ্মা এবং মেঘনার প্রবল স্রোতে অবশেষে বৃহস্পতিবার চাদপুর এবং শরীয়তপুরের স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চাাঁদপুরের নব-নির্মিত ওমর আলী স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারটি মাত্র দু’মাস পূর্বে নির্মাণকাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে  হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে পদ্মায় ভাঙ্গনে ধ্বসে পড়েছে শরীয়তপুর জেলার শিবচর উপজেলার চরের বাতিঘর হিসেবে খ্যাত এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজে সরকারের ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। কিছুদিন ধরে উজান থেকে আসা পানি পদ্মা-মেঘনার প্রবল স্রোতে সাইক্লোন শেল্টারটির চারপাশের মাটি সরে গিয়ে ভবনটি নদী বেষ্টিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু নদীর শ্রোত বেশী হওয়ায় মেঘনার গ্রাসে পরিণত হয়। 
এদিকে বুধবার (২২ জুলাই) মধ্যরাতে নূরুদ্দিন মাদবরেরকান্দি গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়টির তিনতলা ভবনের মাঝ বরাবর দ্বিখণ্ডিত হয়ে হেলে পড়ে। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টি নদীর দিকে আরও হেলে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে পারে পদ্মায়। স্কুলটি ভেঙে পড়রে কন্নায় ভেঙে পরে চরের মানুষজন।
২০০৯ সালে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটিতে শিবচরের বন্দরখোলার মমিন উদ্দিন হাওলাদারকান্দি, জব্বার আলী মুন্সীকান্দি, বজলু মোড়লের কান্দি, মিয়া আজম বেপারীর কান্দি, রহমত হাজীর কান্দি, জয়েন উদ্দিন শেখ কান্দি, মসতখাঁর কান্দিসহ প্রায় ২৪টি গ্রাম এবং ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করছিল। চরাঞ্চলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চারশ।