পাবনায় ৬ দিন দেখা নেই সূর্যের, বীজতলা বাঁচাতে কৃষকদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা

পাবনায় ৬ দিন দেখা নেই সূর্যের, বীজতলা বাঁচাতে কৃষকদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা

পাবনায় ৬ দিন দেখা নেই সূর্যের, বীজতলা বাঁচাতে কৃষকদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা

পাবনায় কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে গোটা জনপদ। ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। কনকনে ঠান্ডায় সময় মত কাজে বের হতে পারছেন না তারা। বৃষ্টির ফোঁটার মত পড়ছে কুয়াশা। এই ঠান্ডায় অনেক কষ্টে পড়েছে সকালে স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টারে যাওয়া ছাত্র ছাত্রীরাও। প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে বীজতলা বাঁচাতে কৃষকরা আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঈশ্বরদী আবহাওয়া দফতরের পর্যবেক্ষক নাজমুল ইসলাম জানান,‘ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত অসখ্য নদ নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। কনকনে ঠান্ডায় শীত নিবারনের জন্য তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন। এছাড়াও কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন অনেক কৃষকে।এদিকে শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ- শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি কাশি।

সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের আলো ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৬ দিন ধরে  দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় দিনের ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। শুধুমাত্র শনিবার(১৩ জানুয়ালি) কয়েক ঘন্টার জন্য সূর্য্যরে আলো দৃশ্যমান হয়েছিল।পাবনা  পৌর শহরের রিকশা চালক রিপন আলী বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহওে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রীও হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়ছি।

শহরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী আবু হাশেম বলেন, আজ ৭-৮ দিন থেকে ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বাজাওে লোকসমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তো মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।

এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডায় ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে ধান চাষীরা পলিথিন ব্যবহার করে বীজতলা রক্ষার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পাবনার ঈশ্বরদী অফিসের পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন,‘তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন এমন থাকবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ঢাকা আবহাওয়া দফতরের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার-শুক্রবার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর পর হয়তো বা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। তখন ঠান্ডাভাব কমে যাবে।