বিমান উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন উড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ

বিমান উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন উড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ

বিমান উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন উড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ

বিমান উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে উড্ডয়ন এলাকার সন্নিকটে ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন উড়ানো এবং লেজার রশ্মি ও হাইপাওয়ার টর্চ লাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিষ্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। এছাড়াও বিমান বাহিনী ঘাঁটি ও বিমান উড্ডয়ন এলাকায় লেজার রশ্মি অথবা হাইপাওয়ার টর্চ লাইট, বিমান ও হেলিকপ্টারের দিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুড়ি, ফানুস ও ড্রোন উড়ানো এবং লেজার রশ্মি নিক্ষেপ বিমান ও হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব একদিকে যেমন বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তেমনি বিমান ও হেলিকপ্টারে ব্যবহৃত রেডিও সংকেত আদান প্রদানেও বাধা সৃষ্টি করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এছাড়াও, বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয় যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আইএসপিআর বলেছে, এমতাবস্থায়, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোন ব্যক্তি, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিষ্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের ন্যূনতম ৪৫ দিন পূর্বে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে (www.caab.gov.bd)  প্রদত্ত ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে। নিরাপদ উড্ডয়নে সহযোগিতা করা আপনার, আমার এবং সকলেরই দায়িত্ব। আসুন সবাই মিলে বাংলার আকাশকে উড্ডয়নের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তুলি এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে সকলে সচেষ্ট হই। 

সূত্র : বাসস