বিপিএলে দেশি কোচদের জয়জয়কার

বিপিএলে দেশি কোচদের জয়জয়কার

ফাইল ছবি

বিপিএলের গত ৯ আসরের পাঁচটিতে সফল দেশি কোচরাই। বিদেশি কোচদের চেয়ে এক আসর শিরোপায় এগিয়ে দেশি কোচরা। এতে করে দেশি কোচে আস্থা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবারের বিপিএলে সাত দলের প্রধান কোচ দেশি। এর ভেতর বেশ কয়েকজন কোচ আবার তরুণ। তুষার ইমরান, রাজিন সালেহ, তালহা যুবায়েরদের বিশ্বাস বিপিএলের মতো বাকি ক্রিকেটেও দেশি কোচদের উত্থান ঘটবে।

বিপিএলের গত ৯ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চারটি দল। প্রতিটি আসরই ছিল ঘটনাবহুল। ঢাকার তিনবার শিরোপা জয়ে দেশি-বিদেশি কোচের ছোঁয়া আছে। সবচেয়ে বেশি চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন কোচ হিসেবে পরিচিতি জুটে গেছে তার। কেবল রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের শিরোপা জয়ের সঙ্গী ছিলেন না কোনো দেশি কোচ।

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটস ২০১২ ও ২০১৩ বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন। এই দলের কোচ ছিলেন ইংল্যান্ডের ইয়ান পন্ট। বিপিএলের প্রথম সফল কোচ তিনি। পরের দুই আসর দিয়ে দেশি কোচদের উত্থান। ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ ছিলেন সালাউদ্দিন। ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের সামনে ছিলেন টম মুডি।

২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালসের কোচ ল্যান্স ক্লুজনার। বাকি ইতিহাস সবারই জানা। কুমিল্লা তার কোচ বদলায়নি। গতবারের প্লে-অফে খেলা রংপুর রাইডার্স আস্থা হারায়নি সোহেল ইসলামের ওপর থেকে। সিলেটের রাজিন সালেহ এখন আলোচিত কোচ। খুলনা টাইগার্স বেছে নিয়েছে তালহা যুবায়েরকে। আর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নিয়োগ দিয়েছে তুষার ইমরানকে।

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার তুষার ইমরান মনে করেন দেশি কোচদের গ্রেড বেড়েছে, ‘দেশি কোচদের বেশির ভাগ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা। তারা জানে একটি আন্তর্জাতিক দলকে কীভাবে সামলাতে হয়। ফলে বিদেশি খেলোয়াড়রাও সম্মানের চোখে দেখে এবং কথা শোনে। বিপিএলে দেশি কোচদের উত্থানের পেছনে এটা একটা বড় কারণ।’

ফরচুন বরিশালের প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বাবুল একটু ভিন্নভাবে দেখছেন বিষয়টি। তাঁর মতে, ‘এখন বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বেড়েছে। কাছাকাছি সময়ে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট হওয়ায় বিদেশিরা কাজ করছেন পছন্দের জায়গায়। যদিও দেশি কোচদের ওপর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আস্থা রাখার কারণ অন্য। কারণ বিপিএলে দেশি ক্রিকেটার খেলে বেশি, বিদেশি খেলে চারজন। স্থানীয় খেলোয়াড়রা দেশি কোচদের সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আর অবশ্যই দেশি কোচদের যোগ্যতা আছে। যোগ্যতা না থাকলে এত বড় টুর্নামেন্টে কাজ করার সুযোগ পেত না।’

বিপিএলের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও থাকেন দেশি কোচ। শুধু জাতীয় দলে দেশিরা উপেক্ষিত।