ফুলের মেলা দেখতে আসবে ২০ লাখ দর্শনার্থী

ফুলের মেলা দেখতে আসবে ২০ লাখ দর্শনার্থী

সংগৃহীত

নাগরিক জীবনে নির্মল আনন্দ দিতে চট্টগ্রামে ১২৭ প্রজাতির কয়েকলক্ষ ফুল দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো যাত্রা শুরু করল ‘ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক’। ১০ বছরের বেশি সময় অবৈধ দখলে থাকা হাজার কোটি টাকার প্রায় ১৯৪ একর খাসজমিকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ফুলের মেলা। মেলা উদ্বোধন করবেন জনপ্রশাসন সচিব। মাসব্যাপী এই মেলায় ২০ লাখ দর্শনার্থী হবে বলে আশা আয়োজকদের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ডিসি পার্কটিকে পর্যটন খাত হিসেবে গড়ে তোলার প্রথম ধাপ শুরু হয়েছিল গতবছর ৯ দিনব্যাপী ‘ফ্লাওয়ার ফেস্টিভ্যাল’ দিয়ে। বিস্তীর্ণ জলরাশি আর তার পাড় ঘেঁষেই ফুলের সাম্রাজ্য। শীতপ্রধান দেশের রানি টিউলিপ ফুল থেকে শুরু করে দেশীয় গাঁদা, লাল, নীল, হলুদ বর্ণের ডালিয়া ছাড়াও আছে নানা বর্ণের মেরিগোল্ড, চন্দ্রমল্লিকার মতো রঙ-বেরঙের ফুল। এমন দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যের দেখা মিলবে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে বন্দরের সংযোগ সড়ক মেরিন ড্রাইভের একাংশে। ফুলের এ সম্ভার নিয়ে ফ্লাওয়ার পার্ক গড়ে তুলছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে একটু প্রশান্তি ও স্বস্তির খোঁজে অনেকেই ছুটে আসছেন এখানে। চোখজুড়ানো বর্ণিল এই ফুলের সমারোহ দেখে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা।

জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় রোপণ করা হয়েছে কয়েক লাখের বেশি বিভিন্ন জাতের ফুলগাছ। ফুটতে শুরু করেছে নানা রঙের ফুল। প্রথম দেখাতেই যে কারো নজর কাড়বে বাতাসে দোল খাওয়া বাহারি ফুল। সুন্দর একটি বিকেল কাটাবার জন্য বিনোদনপিয়াসী মানুষ ছুটছে ফুলের মেলায়। আগামী ২৫ জানুয়ারি শুরু হবে এই ফুল উৎসব। গতবছর মেলা প্রতিদিন দশ থেকে বিশ হাজার পর্যটক আসতো। এবার প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার পর্যটক আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের যাতায়াতের অনুষ্ঠানের সামনের রাস্তাকে নতুনসাজে সাজানো হয়েছে, রংতুলির আঁচড়ে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে।

এটি নিমার্ণের ফলে শিশুরা ফুল চেনার সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়া পার্কটি বিনোদনের একটি মাধ্যম হয়ে উঠছে। শুধু ফুলের সৌন্দর্য নয়, বিনোদন ও অবসর সময় কাটানোর জন্য এখানকার দুই জলাশয়ের মাঝখানে নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াকওয়ে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এখানে আরও থাকছে সাতার প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি প্রতিযোগিতা, নৌকা বাইচ, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব, শিশুদের বিভিন্ন খেলাধুলা, প্রতিদিন রাতে থাকছে বিভিন্ন ধরনের উৎসব, থাকছে হাজার বছরের নৌকার মিউজিয়াম।