গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরপরই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে রুবেল মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। একই সঙ্গে অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন স্থানীয়রা।

নিহত বিএনপি নেতার নাম হারুন অর রশিদ (৫৫)। তিনি পেশায় চিকিৎসক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোমিও চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ দুপুর ১২টার দিকে ওষুধের দোকান থেকে চা পানের জন্য গয়েশপুর বাজারের ছাগল মলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শাহাব উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (৪০) বিএনপি নেতা হারুনকে দেখে গালাগালি শুরু করেন। এর প্রতিবাদ জানান বিএনপি নেতা। সঙ্গে সঙ্গে কাছে থাকা ধারালো রাম দা হাতে রুবেল তাকে ধাওয়া করেন। জীবন বাঁচাতে তিনি দৌড় দেন। পেছনে পেছনে দৌড়াতে থাকেন রুবেলও। একপর্যায়ে হারুন বাজারের ভেতর রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় রুবেল এলাপাতাড়ি হারুনের মাথায় কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা রুবেলের বাসায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন। তখন রুবেল বাসা থেকে অস্ত্র হাতে বের হয়ে উত্তেজিত জনতাকে ধাওয়া করেন। এর একপর্যায়ে জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দেন। ছেলেকে বাঁচাতে মা বিউটি বেগম এগিয়ে এলে তিনিও পিটুনিতে আহত হন। খবর পেয়ে পাগলা এবং গফরগাঁও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় রুবেল ও তার মাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

এ দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি নেতার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাটায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।