ফিন অ্যলেনের বিধ্বংসী শতক, পাকিস্তানের হ্যাটট্রিক হার

ফিন অ্যলেনের বিধ্বংসী শতক, পাকিস্তানের হ্যাটট্রিক হার

সংগৃহীত

একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিলেন ফিন অ্যালেন। পার্থক্য এনে দিলেন দুই দলের মাঝে। হবারই কথা, টি-টোয়েন্টিতে ১৩৭ রান তো ছোটো কোনো ইনিংস নয়।

সেই শতকে ভর করে পাকিস্তানকে ৪৫ রানে হারিয়েছে কিউইরা। সেই সাথে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে সিরিজও।

প্রথম দুই ম্যাচেই হারায় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটা ছিল পাকিস্তানের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। ডানেডিনে টসেও জেতে তারা, সিদ্ধান্ত নেয় আগে বোলিংয়ের। তবে কিউইদের বেঁধে রাখতে পারেনি সাধ্যের মাঝে। ফিন অ্যালের ৬২ বলে ১৩৭ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৭ উইকেটে ২২৪ রান তুলে নিউজিল্যান্ড।

জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান শুরুতেই ছিল ব্যাকফুটে। এর আগে সর্বোচ্চ ২০৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের, ২২৫ রানের লক্ষ্য তাই বেশ কঠিন ছিল। এর মাঝে দুই ওপেনার ছিলেন ব্যর্থ, পারেননি ভালো সূচনা এনে দিতে। ১৩ বলে ১০ রানে ফেরেন সাইম আইয়ুব, ২০ বলে ২৪ রান আসে রিজওয়ানের ব্যাটে। সব মিলিয়ে ৭ উইকেটে ১৭৯ রানেই থেমে যায় পাকিস্তান।

রান যা করার একাই করেছেন বাবর আজম। তবে ম্যাচের ভাগ্য পাল্টায়নি। তার ৩৪ বলে ৫৮ রান কেবল ব্যবধান কমিয়েছে। তাছাড়া ফখর জামান ১০ বলে ১৯ ও আজম খান করেন ১০ রান। শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাহিন আফ্রিদি দ্রুত গতিতে রান তুললেও তা জয়ের জন্যে যথেষ্ট ছিল না। শাহিন ১১ বলে ১৬ ও নাওয়াজ করেন ১৫ বলে ২৮ রান।

এর আগে বল হাতেও ব্যর্থ ছিলেন পাক বোলাররা। একপ্রান্ত থেকে উইকেট তুলে নিলেও অন্য প্রান্ত থেকে রান বিলিয়েছেন অকাতরে। রান তুলে নিয়েছেন ফিন অ্যালেন। তার শতক বাদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে সেইফার্টের ব্যাটে। ১৯ রান করেন গ্লেন ফিলিপস।

ফিন অ্যালেন যেন ডানেডিনে ছক্কা বৃষ্টি ঝরান। তার ৬২ বলে ১৩৭ রানের ইনিংসটা ছিল ১৬ ছক্কায় গড়া। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসের সর্বোচ্চ ছক্কা। একই রেকর্ড আছে আফগানিস্তানের হজরতুল্লাহ জাজাইয়ের। শুধু ছক্কায় নয়, তার ইনিংসটাও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পঞ্চম সর্বোচ্চ। আর নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস।

তার এই ইনিংসটাই গড়ে দিল ম্যাচের পার্থক্য।