শীতের তীব্রতার সাথে বাড়ছে নিউমোনিয়া

শীতের তীব্রতার সাথে বাড়ছে নিউমোনিয়া

সংগৃহীত

ভোলায় দিন দিন বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা। ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। সব থেকে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের। অপরদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের ন্যায় ভোলায়ও বাড়ছে নিউমোনিয়া আক্রান্তের হার।

জেলার সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা এ সাত উপজেলাতেও এখন বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিশেষ করে অসহায় হয়ে পরছেন নদী পার ও চরাঞ্চলের মানুষ। এই শীতে সব থেকে বেশি বিপর্যস্ত্র হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। ক্ষেত খামারে কাজ করতে যেতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও কুয়াশা না কাটায় চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে সকলের। কেউ কেউ খরকুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে কিছুটা গরমের উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছে। এদিকে ঘনকুয়াশার কারণে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে। অপরদিকে শীত নিবারণের জন্য চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন।

অন্যদিকে হাসপাতালে পা রাখা যাচ্ছে না নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর জন্য। ভোলা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, শীতের প্রকোপ বাড়াতে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেরে চলছে। তবে আমরা সাধ্যমত চিকিৎসা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ভোলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে ১২জন শিশু।  ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ২৪, জন রোগী। গত ১৫ দিন নিউমোনিয়া ২২৬ জন শিশু। ডায়েরিয়া গত ৩০ দিন ৫৩০ জন ভর্তি হয়েছে।

বেশিরভাগ রোগীর স্বজনরা হলেন, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ, জেলে। তাদের একজন জানা, ঠান্ডা বেশি থাকাতে বাবুর ঠান্ডা লেগে গেছে আজ ৬ দিন আমরা হাসপাতালে ভর্তি। প্রচুর শীতের জন্য ঘর থেকে বের হতে পারি না। 

ডা. মু. মনিরুল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ক ভোলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের। আমাদের পরামর্শ হলো বাচ্চাদেকে যেন উষ্ণ রাখি।যাদের বয়স ৬ মাস এর কম তারা যেন শুধুই মায়ের বুকের দুধ খায়।