সাকিবকে হারালেন তামিম, বরিশালের বড় জয়

সাকিবকে হারালেন তামিম, বরিশালের বড় জয়

সাকিবকে হারালেন তামিম, বরিশালের বড় জয়

প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল রংপুর রাইডার্স। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলো না দলটি। হার দিয়ে আসর শুরু হলো তাদের। বিপরীতে শুভ সূচনা ফরচুন বরিশালের। মিরপুরে তাদের জয় ৫ উইকেটে।শনিবার মিরপুরে লড়াইটা শুধু দলের মাঝে আটকে ছিলো না, লড়াইটা ছিল তামিম-সাকিবেরও বটে। তাদের দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ছিল দর্শকেরা। যেখানে অবশ্য দিনশেষে একটুখানি এগিয়ে গেলেন তামিম।

কাগজে-কলমে আসরের বড় দল ফরচুন বরিশাল, তবে আলোচিত দলগুলোর একটি রংপুর। ফলে দুই দলের লড়াই ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। যদিও তা বিবর্ণ হয়ে যায় প্রথম ইনিংসের পরেই, ১৩৫ রান যেখানে লক্ষ্য সেখানে আর লড়াই করার কী থাকে!

মিরপুরে শনিবার আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৪ রানে ইনিংস শেষ হয় রংপুরের। সাকিব-নাবিদের কেউ পারেনি প্রত্যাশা পূরণ করতে। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও একটা সময় চাপে পড়ে যায় বরিশাল। তবে ৫ বল আর ৫ উইকেট বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় তারা।বরিশাল লক্ষ্যে পৌঁছায় ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে৷ তামিম ইকবালের ২৪ বলে ৩৫ ও মেহেদী মিরাজের ১৮ বলে ২০ রান জয়ের পথে রাখে বরিশালকে। তবে রান পাননি সৌম্য সরকার (১)। তবে বরিশালের প্রথম উইকেট তুলেন সাকিব, ইবরাহীমকে ফেরান ১২ রানে।

সেখান থেকে মুশফিকুর রহিমের ২৭ বলে ২৬ রান তিন অংকের ঘরে পৌঁছায় বরিশালকে। তবে জয় নিশ্চিত করে ফেরা হয়নি মুশফিকের৷ এই কাজটা সারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শোয়েব মালিক। মালিক ১৭ ও রিয়াদ ১১ বলে করেন ১৯ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন তিনিই।এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা রংপুরের ইনিংসের শুরুটা হয় গোল্ডেন ডাক দিয়ে। কোনো রান যোগ করার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন ব্রেন্ডন কিং। ইমরান জুনিয়রের বলে তার স্ট্যম্প ভাঙে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি রংপুর, উল্টো পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে বসে তারা।

খালেদ আহমেদের সেই ওভারে প্রথমে ফেরেন রনি তালুকদার, ৫ রান করে ইমরানকে ক্যাচ দেন তিনি। এক বল পরেই সাকিবের উইকেট ভাঙেন এই পেসার। বিপিএল ইতিহাসের সেরা এই ক্রিকেটার মাত্র ২ রানে ফেরেন সাজঘরে।১৫ রানে ৩ উইকেট হারানো রংপুরের আক্ষেপ বাড়িয়ে ফেরেন আজমতুল্লাহ ওমরজাইও। ৯ বলে ৬ রান করে দুনিথ ভেল্লাগের শিকার তিনি। তবে অপরপ্রান্ত থেকে স্কোরবোর্ড ভদ্রস্থ করার কাজটা করেন নুরুল হাসান সোহান।

তবে সোহানের ইনিংসটাও বড় হয়নি, ২৩ বলে ২৩ করে ফেরেন তিনিও। ১০ ওভারে ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় রাইডার্সরা। সেখান থেকে শামিম পাটোয়ারী ও শেখ মেহেদীর ছোট দুটো ইনিংস বলের সাথে রানের ব্যবধান বাড়ায়।শামিম ৩৩ বলে ৩৪ ও শেখ মেহেদী শেষ দিকে এসে ১৯ বলে করেন ঝড়ো ২৯ রান। তাতে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় রংপুর। ৯ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৩৪ রান করে তারা।বরিশালের হয়ে খালেদ ৩১ রানে ৪ ও ২ উইকেট পান মেহেদী মিরাজ।