ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নওশাবার তিন সিনেমা

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নওশাবার তিন সিনেমা

ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র নিয়ে দেশের বৃহত্তম আয়োজন ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎস’। দুই দশকের বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) পর্দা উঠেছে উৎসবটির ২২তম আসরের। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এর সূচনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর।

এবারের আয়োজনে ৭৪টি দেশের ২৫২টি ছবি দেখানো হবে এবার। এরমধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৯টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৩টি। আর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র থাকছে ৭১টি। 

দেশের ৭১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে তিনটি সিনেমার অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহম্মেদ। ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদের নির্দেশনায় এ অভিনেত্রীর সিনেমা ‘স্যালভেশন অফ ট্রি’ সিনেমাটি রয়েছে ‘স্পিরিচুয়াল’  বিভাগে। এই সিনেমাটি আগামীকাল জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রদর্শনী হবে। একই বিভাগে একই ভেন্যুতে আরও রয়েছে গোলাম রাব্বানী পরিচালিত সুরত সিনেমাটিরও প্রদর্শনী হবে আগামীকাল। অপর একটি সিনেমার শিরোনাম ‘সম্পর্ক’। এটি পরিচালনা করেছেন রাশিদুল ইসলাম যা স্থান পেয়েছে শর্ট আন্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম শাখায়। আগামী ২৫ জানুয়ারী জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রদর্শন হবে। 

সিনেমা তিনটি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহম্মেদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আমি খুব আনন্দিত। কারণ এবারের আয়োজনে আমার তিনটি সিনেমার প্রদর্শনী হবে। এটা অনেক বড় প্রাপ্ত। সিনেমা তিনটির গল্প একিবারে ভিন্ন। ‘স্যালভেশন অফ ট্রি’ এবং ‘সুরত’ সিনেমা দুটি আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে নির্মিত হয়েছে। আর ‘সম্পর্ক’ সিনেমাটি একিবারে পরিবার কেন্দ্রীক।

নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’-এই স্লোগানে উৎসবটির আয়োজন করছে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত। আগামী ২৮ জানুয়ারি এর পর্দা নামবে। এবারের উৎসবে মাস্টারক্লাস নেবেন ইরানের নন্দিত নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, চীনের সাংহাই ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান শি চুয়ান ও কলকাতার গুণী চলচ্চিত্রকার ও সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত। এছাড়াও দেশ-বিদেশের অনেক তারকা উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। 

এবারের উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৭৪টি দেশের ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর স্থানগুলো হচ্ছে- জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নৃত্যশালা মিলনায়তন, অঁলিয়স ফ্রঁসেজ মিলনায়তন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তন। এসব মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী বিনা মূল্যে উপভোগ করা যাবে।