তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের দাপট কমেনি পঞ্চগড়ে

তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের দাপট কমেনি পঞ্চগড়ে

সংগৃহীত

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করলেও আজ ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ছয়টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

গতকাল রোববার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ ঢাকা মেইলকে জানান, হিমালয়ের কাছাকাছি পঞ্চগড় জেলার অবস্থান হওয়ায় বরাবরই এখানে শীতের তীব্রতা একটু বেশি হয়ে থাকে। আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল রোববার সকাল নয়টায় ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সামনে দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হওয়ায় প্রতিবছর উত্তরের এই জেলায় তীব্র হয় শীত। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। শীতের মৌসুম শুরুর আগে থেকেই ঠান্ডায় কাঁপছে পঞ্চগড়।

অনেকদিন ধরেই হিমেল হাওয়ার কারণে সন্ধ্যার আগে থেকেই প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ছে। রাত শুরু হতে না হতেই কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো টপটপ করে কুয়াশা ঝরছে। মাঝদুপুরে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হওয়ার দাপটে ঠান্ডা তেমনটা কমছে না।

ব্যস্ততম সড়কগুলোতে জনসাধারণের চলাচল কমে গেছে। মহাসড়কে চলাচল করা গাড়িগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে ধীরে চলছে। ঘনকুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়িগুলো হেডলাইট দিয়ে চলছে। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে মাঠেঘাটে কাজ করতে গেলেও বেশি সময় থাকতে পারছেন না।

শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

শীতের কারণে হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।