ইউক্রেনের বন্দিদের জীবন নিয়ে খেলছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের বন্দিদের জীবন নিয়ে খেলছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

সংগৃহীত

\ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন রাশিয়া ইউক্রেনীয় বন্দীদের জীবন নিয়ে খেলছে। ইউক্রেনের ৬৫ যুদ্ধবন্দীকে বহনকারী রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ইউশিন আইএল-৭৬ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর এই অভিযোগ করেন তিনি। রুশ এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৭৪ জন নিহত হন। খবর বিবিসির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম রাশিয়ায় মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনার পর মস্কো ‘ইউক্রেনীয় বন্দিদের জীবন নিয়ে খেলা করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে বুধবারের এই বিধ্বস্তের ঘটনার পর আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিও জানান তিনি।

রাশিয়া বলেছে, ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি, ছয় রাশিয়ান ক্রু এবং তিনজন এসকর্টসহ আইএল-৭৬ বিমানটি ইউক্রেন ভূপাতিত করেছে এবং এই ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই। মস্কোর দাবি, বন্দি বিনিময়ের জন্য ওই ইউক্রেনীয়দের বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা বলেছে, আগের মতো এবার তাদের নিরাপদ আকাশসীমা নিশ্চিত করতে বলা হয়নি। যদিও রাশিয়ার দাবি, তারা ইউক্রেনকে সংকেত দিয়েছে।

এমন অবস্থায় বুধবার (২৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে দেওয়া ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, এটা স্পষ্ট যে রাশিয়ানরা ইউক্রেনের বন্দিদের জীবন, তাদের আত্মীয়দের অনুভূতি এবং আমাদের সমাজের আবেগ নিয়ে খেলছে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার এই ঘটনার পর জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) তার জন্মদিনের সঙ্গে যুক্ত একটি পরিকল্পিত আঞ্চলিক সফর বাতিল করেছেন।

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা এই সামরিক পরিবহন বিমানটিকে গুলি করেছিল বলে আগের দিন তাদের মন্তব্যে বেরিয়ে আসে। যদিও তারা জোর দিয়ে জানায়, আরোহী কারা ছিল সে সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য ছিল না।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফের একটি সূত্র জানায়, বিমানটি ইউক্রেনীয় সেনারাই বিধ্বস্ত করেছে। কারণ তাদের ধারণা ছিল, বিমানটি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছিল। যে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে খারকিভে আগের দিন ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়ার অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল এবং সংসদের নিম্নকক্ষ ডুমার সদস্য আন্দ্রে কারতাপোলোভ জানিয়েছেন, বেলগোরোদে যে সামরিক বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটিতে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা হয়েছে। আর এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলো দিয়েছে। অবশ্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যখন জানানো হয়, বিমানটিতে ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিরা ছিলেন জানার পর ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জেনারেল স্টাফের সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি তাদের সাইট থেকে সরিয়ে ফেলে।