ভাঙ্গুড়ায় একের পর এক গরু-মহিষ চুরির ঘটনা

ভাঙ্গুড়ায় একের পর এক গরু-মহিষ চুরির ঘটনা

ফাইল ছবি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় একের পর এক চলছে গরু-মহিষ চুরির ঘটনা। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে দুই কৃষক পরিবারের দুইটি মহিষ ও চারটি গরু চুরি হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি ও ২৫ জানুয়ারি রাতের কোন এক সময়ে উপজেলা খানমরিচ ইউনিয়নের মহিষ বাথান ও খানমরিচ গ্রামে এ দুই ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই এলাকার অনেক কৃষক পরিবার। একদিনের ব্যবধানে দুই কৃষকের বাড়িতে গরু-মহিষ চুরি হওয়ায় এলাকার জনমনে গরু-মহিষ চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই অবস্থা হতে মুক্তি পেতে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামানা করেছেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষ। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের খানমরিচ গ্রামের আব্দুল জলিল আকন্দ বাড়ির গোলায় ঘর থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় চারটি গরু চুরি করে নিয়েছে চোরেরা। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। জলিল ওই গ্রামের মৃত ফজেল আকন্দের ছেলে। অপরদিকে তার এক দিন আগে একই ইউনিয়নের মহিষ বাথান এলাকা থেকে মৃত আহম্মদ ফকিরের ছেলে ফজলু ফকিরের বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে দুইটা মহিষ চুরি করে নিয়েছে চোর চক্ররের সদস্যরা। এতে দুটি পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে এবং চরম হতাশায় ভুগছেন। অনেক খোঁজা-খুঁজির পরও চুরি হওয়া গরু-মহিষগুলোর সন্ধান পাননি তারা। এক দিনের ব্যবধানে একই ইউনিয়নের পাশাপাশি গ্রাম থেকে দুইটা মহিষ ও চারটি গরু চুরি হওযার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রামে স্থানীয়ভাবে রাতে গরু চুরি রোধে রাত জেগে পাহারা দিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না এই গরু-মহিষ চুরি।

ঘটনার বিষয়ে খানমরিচা ইউপি চেয়ারম্যান মো: মনোয়ার হোসেন মিঠু বলেন, পর পর দুই কৃষক পরিবারের বাড়ি থেকে গরু-মহিষ চুরি হওয়ার খবর পেয়েছি। গ্রামবাসীকে আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নাজমুল হক বলেন, খানমরিচ এলাকায় গরু বা মহিষ চুরির বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে খোঁজ-খবর নিয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়নে সচেতনতার লক্ষ্যে গরু-মহিষ চুরি রোধে বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।