যুদ্ধ চায় না যুক্তরাষ্ট্র, তবে সেনা হত্যার প্রতিশোধ নিবে

যুদ্ধ চায় না যুক্তরাষ্ট্র, তবে সেনা হত্যার প্রতিশোধ নিবে

সংগৃহীত

জর্ডানে সিরিয়া সীমান্তের কাছে রবিবার (২৮ জানুয়ারি) আমেরিকান বাহিনীর ওপর ড্রোন হামলায় তিন আমেরিকান সেনার মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই ইরানের দিতে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে আমেরিকা। এই অবস্থায় ইরানের উপরে হামলা চালানোর জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপরে চাপ বাড়াচ্ছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যদের একটা অংশ। কিন্তু গত কয়েক দশকে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ চালাতে গিয়ে আমেরিকার ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে এখনই সে পথে হাঁটতে নারাজ পেন্টাগন। পেন্টাগনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চাইছে না এবং তাদের বিশ্বাস তেহরানও যুদ্ধ চায় না। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নেব। সেনার উপরে হামলার জবাব দেব।’

এদিকে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে জর্ডানে হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়া জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই প্রতিক্রিয়া কী হবে বা কখন কীভাবে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউসে এমন মন্তব্যের পর অবশ্য বলেছেন, 'আমি মনে করি না, আমাদের মধ্যপ্রাচ্যে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের প্রয়োজন আছে'।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, তিনি কীভাবে আক্রমণের প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন বাইডেন শুধু বলেছেন, 'হ্যাঁ'। এই হামলার জন্য ইরানকে দোষারোপ করা উচিত কিনা- এমন প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমি তাদের (ইরানকে) এই অর্থে দায়ী করি যে, তারা (ইরান) হামলাকারীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে'। তবে ইরান ওই হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।

দুই দিন আগেই সিরিয়ার সীমান্তের কাছে হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনা ইতোমধ্যে ইরান সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শত্রুদের গুলিতে মার্কিন সৈন্য নিহতের ঘটনা এটিই প্রথম।

জানা গিয়েছে, নিজেদের ভুলেই ঘটনাটি ঘটে। ইরানি জঙ্গিগোষ্ঠী ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’ আমেরিকার সেনা ঘাঁটিতে একটি ড্রোন পাঠিয়েছিল। একই সময়ে আমেরিকান সেনার একটি ড্রোনের সেনা ঘাঁটিতে ফেরার কথা ছিল। শত্রুপক্ষের ড্রোনকে নিজেদের বলে ভুল করে আমেরিকার সেনা। ফলে বিনা বাধায় সেটি হানা দেয়