ফাতেমা নার্সিং কলেজে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

ফাতেমা নার্সিং কলেজে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

ছবি: প্রতিনিধি

বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা-পুলি। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে।

প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও নগরায়নের ফলে এই পিঠা উৎসব বিলুপ্তির পথে। বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ফাতেমা নার্সিং কলেজে বনার্ঢ্য পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে ফাতেমা নার্সিং কলেজে কর্তৃপক্ষ এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানে হরেক রকমের পিঠার পসরা নিয়ে বিভিন্ন স্টল সাজান ফাতেমা নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। শীতের সকালে এসব স্টলে পুলি পিঠা, চিতাই পিঠা, ভাপা পিঠা, জামাই পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা স্থান পায়।

প্রত্যেকটি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন আদ্-দ্বীন হাসপাতাল ও নাসিংসমূহের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন, আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাহমুদা হাসান, ফাতেমা নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ নাসরিন খানম, উপাধ্যক্ষ কোহিনুর বেগমসহ কলেজের শিক্ষকরা।

অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীরা উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, পিঠা শুধু খাবার নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক সবার প্রাণে।

আদ্-দ্বীন হাসপাতাল ও নাসিংসমূহের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে। গ্রামের পিঠা-পুলির আমেজকে ফুটিয়ে তুলতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে ফাতেমা নার্সিং কলেজ। এই উৎসবের কারণে আমরা আমাদের গ্রামের সেই পিঠা-পুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি-স্বাদ নিতে পারছি।

পিঠা উৎসবে ফাতেমা নার্সিং কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।