ঢাকাকে বড় লক্ষ্য দিলো সাকিবের রংপুর

ঢাকাকে বড় লক্ষ্য দিলো সাকিবের রংপুর

সংগৃহীত

ইনিংসের শুরু থেকেই বড় সংগ্রহের আভাস দিচ্ছিল রংপুর রাইডার্স। আর শেষ দিকের নিখুঁত ফিনিশিং ও সাকিব আল হাসানের রানে ফেরার ম্যাচে বড় পুঁজি দাঁড় করিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছে রংপুর।

এদিন রংপুরের হয়ে ওপেনার রনি তালুকদারের সঙ্গে ইনিংস গোড়াপত্তনে নামেন পাকিস্তানি বাবর আজম। ইনিংসের প্রথম তিন ওভার পর্যন্ত কিছুটা রক্ষণাত্মক খেললেও চতুর্থ ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন এই জুটি। ফলে দ্রুতই বাড়তে থাকে রংপুরের রানের গতি। পাওয়ার প্লে’তেই দলীয় ৫০ পেরিয়ে যায় নুরুল হাসান সোহানের দল।

এরপর আরেকটু আক্রমণাত্মক হওয়ার আভাস দিয়ে দলীয় ৬৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রনি। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। আরাফাত সানির বলে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ার আগে ৬ চার ও এক ছক্কায় ২৪ বলে ৩৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার।

খানিকটা চমক দিয়েই তিনে ব্যাট করতে নামেন চলতি বিপিএলে রানখরায় থাকা সাকিব আল হাসান। বাবর আজমের সঙ্গে জুটি বেঁধে রংপুরের ইনিংস মেরামতের কাজ সারতে থাকেন। এদিন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে কিছুটা ক্ষুর্ধাতই মনে হচ্ছিল। যে কারণে ক্রিজে নেমে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকেন সাকিব। সাকিব-বাবরের ব্যাটে ভর করে ১৩তম ওভারেই দলীয় ১০০ পার করে রংপুর।

এরপর ইনিংসের ১৫তম ওভারে বাবরকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ঢাকার দলপতি মোসাদ্দেক। ঢাকার কাপ্তানের অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের নিচু বল পুল করতে গিয়ে ডিপ-ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন বাবর। সেখানে সহজ ক্যাচ নেন গুলবাদিন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ বাউন্ডারিতে ৪৩ বলে ৪৭ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন দ্য গ্রিন ম্যানদের সাবেক এই অধিনায়ক।

একই ওভারে সাকিবকেও ফেরান মোসাদ্দেক। ডিপ-মিড উইকেটে নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দিয় ফেরার আগে ৬ ছক্কা ও ১ চারে ২০ বলে ৩৪ রানের মারকাটারি এক ইনিংস খেলেন ২১ রানে জীবন পাওয়া সাকিব।

এরপর ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই ফিরেছেন আজমউল্লাহ ওমরজাই। ৭ বলে মাত্র ৩ রানে অভিষিক্ত সাব্বিরের কাছে কট অ্যান্ড বলড হয়ে ফিরেছেন তিনি।

এরপর বাকি কাজটা সারেন দলপতি সোহান ও আফগান মোহাম্মদ নবি জুটি। সোহানের ১০ বলে ১৬ আর নবি ১৬ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে এই পুঁজি পেয়েছে রংপুর।