ক্ষমা চাইল মেসির মায়ামি

ক্ষমা চাইল মেসির মায়ামি

সংগৃহীত ছবি

হংকং সফরে স্থানীয় ক্লাবের বিপক্ষে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছে লিওনেল মেসির দল ইন্টার মায়ামি। প্রাক-মৌসুমে আগের ৪ ম্যাচে জয় বঞ্চিত মায়ামি স্বাগতিকদের ৪-১ গোলে হারালেও তা মোটেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি মেসি ভক্তদের। কেননা, এই ম্যাচে মেসির অনুপস্থিতি আয়োজকদের দারুণ হতাশ করেছে।

এমনকি ম্যাচের শেষে মায়ামির মালিক ডেভিড বেকহ্যাম ও কোচ জেরার্ডো মার্টিনোকে দুয়োধ্বনিও শুনতে হয়। মেসির অনুপস্থিতিতে আয়োজকদের ওপর ক্ষুব্ধ খোদ হংকং সরকার।

বেশ কিছুদিন ধরেই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগছেন আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মেসি। যে কারণে মায়ামির হয়ে মাঠে নামেননি তিনি। আর তাতেই হতাশ সমর্থকরা।

চরম হতাশায় টিকিটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন দর্শকরা। বিষয়টি কথা বলেছিল দেশটির সরকার।

এদিকে হংকং একাদশের বিপক্ষে ক্লাব ফ্রেন্ডলি ম্যাচের তিনদিন পরই জাপানে আর্জেন্টাইন জাদুকরকে মাঠে নামতে দেখা যায়। হংকংয়ে মাঠে না নামলেও জাপানে ঠিকই খেলেছেন মেসি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন হংকংয়ের সমর্থকরা। এমনকি সরকারিভাবেও বিষয়টির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন ব্যুরোর ভাষ্য, তিন দিন পর মেসিকে জাপানে কোনো সমস্যা ছাড়াই খেলতে দেখা গেল। সরকার আশা করছে, আয়োজক পক্ষ এবং দল এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেবে।

অন্যদিকে হংকংয়ে মেসি না খেলতে পারায় ক্ষমা চেয়েছে মায়ামি। রয়টার্সে পাঠানো বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির মন্তব্য, আমাদের দৃঢ় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও (আমরা তাদের খেলাতে পারিনি)। আমরা বুঝতে পেরেছি যে রোববারের ম্যাচে লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে সবাই হতাশ হয়েছে। আমরা দুঃখিত যে দুই খেলোয়াড় অংশ নিতে পারেননি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা এটাও স্বীকার করি যে দেরিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের হংকং সমর্থক ও ইভেন্ট আয়োজক টেটলার এশিয়ার মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। আমরা এটা প্রকাশ করার প্রয়োজন মনে করি যে দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরি খেলার একটি অংশ, আমাদের খেলোয়াড়ের স্বাস্থ্যকে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।