র‍্যাবের অভিযানে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারিগর গ্রেফতার

র‍্যাবের অভিযানে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারিগর গ্রেফতার

ছবিঃ সংগৃহীত।

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লামা শীলের ঝিরি পাহাড়ের পাদদেশে অভিযান চালিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছরে সহস্রাধিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর এবং অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণদাতা মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির মাস্টারকে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। এসময় ২টি পূর্ণ তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি আংশিক তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা এবং বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত অস্ত্র তৈরির কারিগর হলেন রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কোদালিয়া কাটা (ছমুদা বড় বাড়ী) এলাকার মোঃ মনিরুল হক (৬০)। কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শনিবার রাতে র‌্যাব-১৫ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জুম্মাপাড়া এলাকার লামা শীলের ঝিরি পাহাড়ের পাদদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্যসহ কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত এলাকার নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কতিপয় ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মোঃ মনিরুল হককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ব্যক্তি কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে অভিযানস্থল থেকে সর্বমোট ২টি দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক, ২টি দেশীয় তৈরি এলজির ব্যারেল, ২টি হাতল ব্যতীত দেশীয় তৈরি এলজির বডিসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। কক্সবাজারের অন্যতম শীর্ষ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাতা ও যোগানদাতা হলেন মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির মাস্টার।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল স্বীকার করে, সে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করেছে এবং অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে মনিরুল ইসলাম থেকে মনির মাস্টার উপাধি পেয়েছে। এছাড়াও সে জানায়, তার পিতার নিকট থেকে সে অস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণ নেয় এবং দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ অস্ত্র তৈরি পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিগণের সহযোগিতায় নিজেরা পরস্পর পরস্পরের জ্ঞাতস্বারে এবং সহযোগিতায় কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে দেশীয় বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র উক্ত গোপন আস্তনায় তৈরি করে কক্সবাজার শহর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আরসা সদস্যদের নিকট উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে থাকে।