মৌলভীবাজারে ঘরের গ্রিল কেটে ডাকাতি

মৌলভীবাজারে ঘরের গ্রিল কেটে ডাকাতি

সংগৃহীত ছবি

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা স্বর্ণ, মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। 

রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়া মাহালদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে মুখে কালো কাপর বেঁধে ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ওই বাড়িতে হানা দেয়। এসময় একতলা ওই ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ডাকাতরা প্রবেশ করে। ভীতরের দরজা দিয়ে অন্যরা প্রবেশ করে। এসময় ঘরের সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। ডাকাতদের প্রবেশের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সবার ঘুম ভাঙ্গে। ডাকাতরা প্রথমে মোস্তফা মিয়া মাহালদারের ছোট ছেলে ও কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম মনসুরের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আলমিরার তালা ভেঙ্গে ৬/৭ বড়ি স্বর্ণ ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে। এসময় মাজহারুল ইসলাম মনসুর চিৎকার করলে ডাকাতরা তার ৩ বছর বয়সী শিশু ফাইজা তাফসিন এর গলায় ছুরি দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

ওই ঘটনার সময় পাশের রুমে মনসুরের বড় ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক আলী থাকতেন। সে ঘরের দরজার সামনেও অবস্থান নেয় ডাকাত দলের ৩ সদস্য। বিষয়টি বুঝতে না পেরে প্রথমে আলীর ধারণা তার অসুস্থ মা ডাকছিলেন। এসময় দরজা খুলে দেখেন সেখানে ডাকাতদলের ৩ জন দাঁড়ানো। দেখেই দরজা বন্ধ করে পিছনের জানালা দিয়ে তিনি ঘরে ডাকাত এসেছে বলে আশপাশের লোকজনকে চিৎকার করে ডাকাডাকি করেন। ওই সময় ডাকাতরা আশেপাশের লোকজন চলে আসার ভয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
নাজমুল হক আলী বলেন, দা সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ডাকাতরা জানালার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে স্বর্ণ, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা ভয়ভীতি দেখিয়ে লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের একজন নাম ধরে তার ছোট ভাই মনসুরকে ডাকে বলেও জানা তিনি।

খবর পেয়ে এরই মধ্যে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) সুদর্শন কুমার রায়, সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম সহ ঊর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা বাড়ির লোকজন সহ আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে।

মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। এলাকাবাসীকে নিয়ে বৈঠক করে দ্রুত কঠোর প্রদক্ষেপ নেবো।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর রহমান বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে, যত দ্রুত সম্ভব আমরা এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন করার চেষ্টা করছি।