স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস আজ

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস আজ

ছবি: সংগৃহীত

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’। ১৯৮৩ সালের এই দিনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল ছাত্রসমাজ। বুকের তাজা রক্তে লিখেছিল এক অনন্য ইতিহাস। সামরিক সরকারের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে এই দ্রোহ কালক্রমে গণ-আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। যার সমাপ্তি ঘটেছিল ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে।

এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান ১৯৮২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি নতুন শিক্ষানীতির প্রস্তাব করেন। সেখানে প্রথম শ্রেণি থেকেই আরবি ও দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। 

উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য মাপকাঠি করা হয় মেধা অথবা পঞ্চাশ শতাংশ ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতা। এর প্রতিবাদে আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয় ছাত্র সংগঠনগুলো। এর ধারাবাহিকতায় ৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্মারকলিপি দিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ গুলি চালায়। জয়নাল ও দীপালি সাহাসহ নিহত হন অন্তত ১০ জন। সেদিন থেকে দিনটিকে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ বলা হয়। এর কিছুদিন পর সরকার একটি ঘোষণা দিয়ে মজিদ খানের শিক্ষানীতি স্থগিত করে।