নরসিংদীর হাজিপুরে বাড়িতে ডেকে সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদীর হাজিপুরে বাড়িতে ডেকে সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর হাজিপুরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে সাবেক স্বামী। হত্যার পর বাড়িতে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে স্বামী।

 শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার হাজিপুর চকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার রুনা বেগম (৪৫) শহরের বেপারীপাড়া এলাকার করিম মিয়ার মেয়ে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যার নিহত রুনার সাবেক স্বামী রৌশন মিয়া রুনাকে হাজিপুর চকপাড়া এলাকার তার বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে রুনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে কুপিয়ে ও পরে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। ওই সময় ঘরের মধ্যে হৈ-চৈ ও  চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে রৌশন মিয়া পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা রুনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে রুনার মৃত্যুর খবরে তার স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় জমায়। স্বজনদের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

নিহতের মা শাহারা বেগম বলেন, ভ্যানচালক রৌশন মিয়া মাদকাসক্ত। টাকার জন্য প্রায়ই রুনাকে মারধর করতো। এরই জেরে গত দুই বছর আগে রৌশনকে ডিভোর্স দেয় রুনা। এরপরও রুনাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য নানা রকম চেষ্টা চালায়। কিন্তু রুনা রাজি হয়নি। সে রৌশনকে ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে বেপারীপাড়া এলাকায় এসে বসবাস করতো। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাজাহান মিয়া বলেন, ঘরের মধ্যে হৈ-চৈ ও  চিৎকারের শব্দ শুনে আমরা এগিয়ে যাই। দরজা ধাক্কা দিলেও তারা দরজা খুলেনি। অনেকক্ষণ পর দরজা খুলে রৌশন মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়। রক্ত দেখে আমরা হতবাক হয়ে পড়ি। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহামুদুল কবির আরিফ বলেন, হাসপাতালে আনার পর আমরা রুনা বেগমকে মৃত অবস্থায় পাই। তার মাথার পেছন দিকে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়াও পেছন দিকে কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভির আহাম্মেদ বলেন,পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। স্বল্প সময়ে তাকে আইনের আওতায় আনার কথা বলেন ওসি।