রমজানে আল-আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

রমজানে আল-আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

আসছে পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের বিষয়ে কিছু নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দ্য ইসলামিক ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ ঘোষণা দিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন রমজানে ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা মসজিদে গমন, নামাজ আদায় ও জিয়ারত (পরিদর্শন) নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করার পরে ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির আরেকটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির প্রস্তাব করেন, ৭০ বছরের কম বয়সী যেকোনো ফিলিস্তিনিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আল-আকসা মসজিদে অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

এদিকে মসজিদে প্রবেশের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের পরে বাইডেন প্রশাসনও উদ্বেগ জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে যে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা এই অঞ্চলে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এর মধ্যে, আর্জেন্টিনার উগ্র ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলির ইসরায়েল সফর ঘিরে এই অঞ্চলে আরও উত্তেজনা প্রকাশ পেয়েছে।

ইসরায়েলের জবরদখল করা পূর্ব জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ অবস্থিত। পবিত্র আল-আকসা মসজিদ সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত। আল-আকসা এলাকাকে 'টেম্পল মাউন্ট' বলে মনে করেন ইহুদিরা। ইহুদিদের কাছেও এলাকাটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।

বিশেষ করে রমজানে পবিত্র স্থানটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতের বড় কারণ হয়ে উঠেছে। আগামী ১০ মার্চ পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে। আসন্ন রমজানে পবিত্র স্থানটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিধিনিষেধের বিষয়ে জানতে চাইলে নেতানিয়াহুর কার্যালয় গতকাল বলেছে, পেশাদার ব্যক্তি কর্তৃক প্রয়োজনীয় নির্ধারিত নিরাপত্তার খাতিরে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

ইসরায়েল–পরিকল্পিত এই বিধিনিষেধের নিন্দা জানিয়েছে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হওয়ার জন্য তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রমজানে সব বয়সের নারী, ১২ বছর পর্যন্ত পুরুষ শিশু এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের রমজানের সময় অনুমতি ছাড়াই আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া জানানো হয়েছিল, ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী পুরুষরা ইসরায়েলের অনুমতি নিয়ে আল-আকসায় প্রবেশ করতে পারবেন। আরও বলা হয়েছিল, পশ্চিম তীরের ৪৮টি অঞ্চলে বসবাসরত আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্য ফিলিস্তিনিদের 'নিরাপত্তা অনুমোদন' নিতে হবে। একইসঙ্গে বিদেশিরাও যদি পশ্চিম তীরে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে চান তাদেরও এই অনুমোদন নিতে হবে।