বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য

সংগৃহীত

সবজি ছাড়া সব ধরনের নিত্যপণ্যেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। সরকার বার বার দাম কমানোর ঘোষণা দিলেও সেটি বাজারে কোনো প্রভাব ফেলছে না। চিনি-চাল-ডাল-তেলসহ সব নিত্যপণ্যই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এই চিনি ১৪০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। গত বছর একই সময়ে দর ছিল ১১০-১২০ টাকা। রোজার বাজারে প্রায় প্রতি বছরই দাম বাড়ে চিনির। এবার দাম কমাতে পণ্যটি আমদানিতে কিছুটা শুল্কছাড় দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া ভোজ্যতেল চাল ও খেজুরের শুল্ক কর কমানো হয়েছে। তবে এসব পণ্যের দামে তার কোনো প্রভাব পড়েনি।

বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা, ভালো মানের নাজিরশাইল ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা, নিম্নমানের নাজিরশাইল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা, আটাশ ৫০ থেকে ৫২ টাকা, স্বর্ণা (গুটি) ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও স্বর্ণা (পাইজাম) ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিকন মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা, মুগডাল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, ডাবলি ডাল ৮০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৮০ টাকা, ছোলার ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, মাষকলাইর ডাল ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর গোশতের দাম। ভোটের আগে প্রতি কেজির গরুর গোশত ৬০০ টাকা পর্যন্ত নামলেও ভোটের পরে তা ৭০০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে আরো দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়।
বাজারে চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি বাদামি ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বড় বাজারে। আর পাড়া মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শতক পেরিয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম এখনো কমেনি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। একই সাথে চড়া দামে আদা ও রসুন দুই-ই বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, ছোট সাইজের শোল প্রতি কেজি ৫০০ টাকা ও আর মাঝারি সাইজের শোল ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সরপুঁটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়।

বড় সাইজের আইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি চিতল মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, রুই মাছ ২৬০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা ও কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া টাকি মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, মলা মাছ কেজি প্রতি ৪০০ টাকা ও পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় ও প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। বেগুন প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ক্ষিরা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকি প্রতি মুঠো ২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, সাধারণ শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, আর বিচিওয়ালা লাল শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লাল আলু প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও ব্রুকলি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।