মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল
সংগৃহীত ছবি
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে শবেবরাত। মুসলমানদের কাছে এই রাত ভাগ্য রজনী হিসেবেও বিবেচিত হয়। তাই মসজিদগুলোতে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ ও ক্ষমার আশায় ঢল নেমেছে মুসল্লিদের। কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির, দোয়া ও মোনাজাত করে সময় পার করছেন তারা।
আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবেবরাত বলে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে শবে বরাত পালন করছে মুসলমানরা।
এদিন সন্ধ্যায় সরেজমিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, পুরান ঢাকা, মালিবাগ, মগবাজার, ফার্মগেট, ধানমন্ডিসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মসজিদ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কসহ সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ কোরআন তেলাওয়াত করছেন, কেউ নফল নামাজ আদায় করছেন, কেউবা করছেন জিকির। আবার কেউ কেউ দোয়, মোনাজাতে আল্লাহর কাছে রহমত কিংবা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।
এদিকে শবেবরাত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই এসব কার্যক্রম শুরু হয়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ‘পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয়’ শীর্ষক ওয়াজ করেন মাদারীপুর জামেআতুছ সুন্নাহ শিবচরের মুহতামিম হযরত মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ ফরিদী। রাত সাড়ে ১২টায় ‘আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক ওয়াজ করবেন ঢাকার বাদামতলীর শাহাজাদ লেন জামে মসজিদের খতিব শায়খুল হাদিস মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী। আর রাত ৩টা ১৫ মিনিটে ‘নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত’ শীর্ষক ওয়াজ করবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান।
ভোর সাড়ে ৫টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শবেবরাতের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান।