জাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, ৬ জনের উত্তরপত্র বাতিল

জাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, ৬ জনের উত্তরপত্র বাতিল

ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে শ্রুতি লেখক পরিবর্তনের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় পাঁচজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র ও পরীক্ষার রোল নম্বর বাতিল করেছে এবং পরীক্ষা দিতে এসে অশোভনীয় আচরণ করায় আরেকজনের পরীক্ষার উত্তরপত্র ও রোল নম্বর বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।  

এছাড়া একজন শ্রুতি লেখককে মোবাইল কোর্টে শাস্তি অনুযায়ী গ্রেফতার করেছে পুলিশ । 

গ্রেফতার ওই শ্রুতি লেখকের নাম সাগর হোসেন রোহান। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায়। ঢাকার একটি কলেজে ইতিহাস বিভাগে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। ঢাকার আশুলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুর রহমান তাকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ৩ (খ) ধারা অনুযায়ী ১ (এক) বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দুইশত টাকা জরিমানা করেন। পরে  আশুলিয়া থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। 

ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র ও রোল নম্বর বাতিল করা পরীক্ষার্থীরা হলেন—সাজিদ হাসান, মো. দেলোয়ার হোসেন, রাজু আহমেদ, মো. টুটুল হাসান, মো. মেহেদী হাসান ও আওয়াল হোসেন আরাফাত। এদের সবার 'সি' ইউনিট অর্থাৎ কলা ও মানবিকী অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়াও সাজিদ হাসান, মো. মেহেদী হাসান ও আওয়াল হোসেন আরাফাতের আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ‘বি’ ইউনিট অর্থাৎ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদের এবং রাজু আহমেদের  ‘বি’ ইউনিট অর্থাৎ বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর বাতিল করা হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার উত্তরপত্র বাতিলকৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সাজিদ হাসান পরীক্ষার আগে পরীক্ষা কেন্দ্রের  শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক রোভার স্কাউট সদস্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বাকি পাঁচজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় 
কর্তৃপক্ষকে শ্রুতি লেখক সম্পর্কে ভূল তথ্য দিয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক অনুমোদিত শ্রুতি লেখক পরিবর্তন করে অন্য শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।  

শ্রুতিলেখক সাগর হোসেনকে গ্রেফতারের বিষয়ে ঢাকার আশুলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান বলেন, তাকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ৩ (খ) ধারা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘ আমরা যাদের বিরুদ্ধে শ্রুতিলেখক পরিবর্তন করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অভিযোগ পেয়েছি তাদেরকে বিরুদ্ধে  বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শাস্তি দিয়েছি।  যারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে নিয়ম মোতাবেক পদক্ষেপ নেব।’