বেইলি রোডের আগুনে প্রবাসীর পরিবারের কেউ বেঁচে নেই

বেইলি রোডের আগুনে প্রবাসীর পরিবারের কেউ বেঁচে নেই

সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরিবার নিয়ে খেতে এসেছিলেন। কিন্তু সুস্থ শরীরে ফিরতে পারেনি তারা৷ আগুন কেড়ে নিয়েছে তার পরিবারের সবার প্রাণ। নিহত হয়েছেন ৫ জন।

নিহতরা হলেন- সৈয়দ মোবারক (৪২), তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৮), মেয়ে সৈয়দা তাশফি (১৭), মেয়ে সৈয়দা নূর (১৫) ও ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ।

প্রবাসী মোবারকের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে। তিনি ঢাকার মগবাজার এলাকায় থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকলেও এক মাসের মধ্যে ইটালি যাওয়ার কথা ছিল মোবারকের। কিন্তু আগুন তার সেই স্বপ্ন নিভিয়ে দিলো।

প্রবাসী মোবারকসহ তার পরিবারের পাঁচজন নিহতের বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নিশ্চিত করেছেন মোবারকের চাচাতো ভাই সৈয়দ ফয়সাল।

তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে সৈয়দ মোবারক তার স্ত্রী স্বপ্নাসহ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাসা থেকে বের হন। সেই সময় জানিয়েছিলেন যে তারা ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছেন। তারা সেখানে পৌঁছানও। কিন্তু আগুন লাগার পর থেকে তাদের খোঁজ মিলছিল না। এতে তারা সবাই মারা যান বলে ধারণা তার।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাদের লাশ মেলে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। পরবর্তীতে ইউনিট বাড়ার পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে ৩ প্লাটুন সাধারণ আনসার ছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১ প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়।

তারা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করে। এছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও। একপর্যায়ে ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।