গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলবে আমেরিকা

গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলবে আমেরিকা

ফাইল ছবি

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। প্রতিদিন গাজাংয় খাবারের জন্য হাহাকার বাড়ছে। শনিবার (২ মার্চ) গাজার হাসপাতালে অনাহারে ১০ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ নিতে গিয়ে একশও বেশি মানুষ ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে। এসব উপেক্ষা করে ত্রাণের জন্য এই দরজা ও দরজা ঘুরে বেড়াচ্ছেন লাখো ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ ও শিশুরা।

এই অমানবিক পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। ত্রাণ বহরে হামলায় একশ’রও বেশি ফিলিস্তিনী নিহত হওয়ার একদিন পর শুক্রবার (১ মার্চ) এই ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।

হোয়াইট হাউসে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেছেন, আমাদের আরও কিছু করা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র আরও কিছু করবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জর্ডানসহ আমাদের অন্য বন্ধুদের সাথে মিলিত হবো এবং অতিরিক্ত খাদ্যসহ অন্যান্য ত্রাণ গাজায় ফেলা শুরু করা হবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনাও অব্যাহত রয়েছে। বাইডেন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, শিগগিরই পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির এই আলোচনায় জটিলতা তৈরি হয়েছে বৃহস্পতিবারের ঘটনার কারণে। এদিন ফিলিস্তিনীরা ত্রাণ বহরের দিকে ছুটে যাওয়ার সময়ে ইসরায়েলী হামলায় একশ’রও বেশি লোক নিহত হয়।

এদিকে গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেছেন, আমরা এখনও ইসরায়েলকে তাদের আত্মরক্ষার স্বার্থে সাহায্য করছি।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে ভূ-খণ্ডটিতে তেল আবিব পাল্টা প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করে। গাজায় এখন চলছে তীব্র মানবিক সংকট।