বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিলো ভারত

বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিলো ভারত

বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিলো ভারত

বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানি করা হবে।

সোমবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দফতরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রফতানি করবে নয়াদিল্লি।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ডিজিএফটি। দেশটির আমদানি ও রফতানি সংশ্লিষ্ট নিয়ম-নীতি নিয়ে কাজ করে থাকে সংস্থাটি।বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রফতানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।

এর আগে, পবিত্র গত রমজান মাসে দেশের বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দিষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ ও চিনি রফতানি করতে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার।

গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রফতানিকারক ভারত। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটির সরকার।

রফতানি নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রফতানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। ওই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে দেশটি থেকে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করা হয়। বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন রফতানিকারক বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।