যে কারণে লোক দেখানো ইবাদত নিন্দনীয়

যে কারণে লোক দেখানো ইবাদত নিন্দনীয়

প্রতিকী ছবি

আত্মপ্রচার ও প্রদর্শনপ্রিয়তা ইসলামের খুব অপছন্দ। এটা ইসলামের নিষিদ্ধ ‘রিয়া’র অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে খুশি করার নিয়তে কোনো নেক আমল করাকে রিয়া, লৌকিকতা বা লোক-দেখানো কাজ বলে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ লোক-দেখানো ইবাদত থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তার প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের আশা রাখে, সে যেন সৎ কাজ করে এবং তার প্রভুর ইবাদতে কাউকে অংশীদার না করে।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ১১০)

অন্য আয়াতে যারা লোক-দেখানো ইবাদত করে তাদের নিন্দা করে বলা হয়েছে, ‘ধ্বংস সেসব নামাজির জন্য, যারা তাদের নামাজের ব্যাপারে উদাসীন, যারা দেখানো জন্য তা (সালাত আদায়) করে আর যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া থেকে বিরত থাকে।’ (সুরা : মাউন, আয়াত : ৪-৭)

রাসুলুল্লাহ (সা.) রিয়াকে ছোট শিরক (আল্লাহর অংশীদার নির্ধারণ) বলেছেন। তিনি বলেন, আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক নিয়ে যতটা ভয় পাচ্ছি, অন্য কোনো ব্যাপারে এতটা ভীত নই।

তাঁরা (সাহাবি) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ছোট শিরক কী? তিনি বলেন, রিয়া বা প্রদর্শনপ্রিয়তা। আল্লাহ কিয়ামতের দিন বান্দার আমলের প্রতিদান প্রদানের সময় বলবেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে যাদের দেখাতে তাদের কাছে যাও। দেখো তাদের কাছে তোমাদের কোনো প্রতিদান আছে কি না?’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২২৫২৮)

যে কাজগুলো রিয়া নয়

কিছু কাজ আছে, বাহ্যিকভাবে সেগুলো রিয়া মনে হলেও আসলে সেসব কাজ রিয়া নয়। যেমন :

কেউ না চাইতেই মানুষ তার ভালো কাজের প্রশংসা করে।

এটা রিয়া নয়, বরং মুমিনের জন্য আগাম সুসংবাদ। আত্মপ্রচার ছাড়া খ্যাতি অর্জন রিয়া নয়।
কেউ কেউ কখনো কোনো ইবাদতকারীকে দেখে তার মতো ইবাদতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এটা রিয়া নয়। পোশাক-পরিচ্ছদ এবং জুতা সুন্দর ও পরিপাটি করে পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা ইত্যাদি।

এটি রিয়া নয়। ঠিক তেমনি পাপ গোপন রাখা এবং সে সম্পর্কে কাউকে কিছু না বলা রিয়া নয়।