রমজানে চিনির কোনও সংকট হবে না : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

রমজানে চিনির কোনও সংকট হবে না : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সংগৃহীত

মিল মালিকদের কাছে যে পরিমাণ চিনি মজুত আছে, তাতে রমজানে চিনির কোনও সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেছেন, কিছুদিন আগে একটি চিনির গুদামে আগুন লেগেছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। বিভিন্ন মিলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের কাছে যে পরিমাণ চিনি মজুত আছে, আশা করছি রমজানে বাজারে চিনির কোনও সংকট হবে না।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিব্বত মোড়ের পূর্ব কলোনী বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসানস ও অন্যান্যরা।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, বৈশ্বিক বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও আমরা সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য বিতরণ করে যাচ্ছি। ১৬৩ টাকার তেল দিচ্ছি ১০০ টাকায়, ১৪০ টাকার চিনি দিচ্ছি ৭০ টাকায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি লোককে প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হচ্ছে। টিসিবির সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকদের তথ্য আবার যাচাই বাছাই করে ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে এই এক কোটি গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে বাজারের চাপটা অনেক কমে যাবে। ফলে সাধারণ ভোক্তারাও সহজে কেনাকাটা করতে পারবে।

আহসানুল হক টিটু আরও বলেন, টিসিবির পণ্য কিনতে অনেক সময়ই গ্রাহকদের খুব পরিশ্রম হয়। এই ভোগান্তি কমাতে টিসিবির ডিলারশিপের দোকানগুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।

এদিকে প্রতিকেজি চিনির দাম একলাফে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করে গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। কিন্তু ঘোষণার পরদিনই বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এ দাম বাতিল করে আগের দাম পুনর্বহালের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। ফলে ৭০ টাকা কেজিতেই চিনি কিনতে পারবেন টিসিবির গ্রাহকরা। গত রমজানে প্রতিকেজি চিনি ৬০ টাকায় বিক্রি করেছিল টিসিবি।