ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

সংগৃহীত

হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়।

এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার ১৮ মিনিটের ভাষণটি ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্র। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের অস্তিত্বেরই অংশ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসিরউদ্দীন। 

এ ছাড়া, ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য।

বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী নির্যাতিত নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু এই ভাষণের মাধ্যমে জনগণের আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাকে কূটনৈতিকভাবে অসাধারণ বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় একসূত্রে বেঁধেছিলেন। ভাষণটি শুধু রাজনৈতিক বক্তব্যই নয়, মানুষের কাছে আবেদন ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে এটি একটি কালজয়ী অনন্য সাধারণ দলিল।

অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।