যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে ঘুষ নিয়েছিলেন সৌদি প্রিন্স

যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে ঘুষ নিয়েছিলেন সৌদি প্রিন্স

ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে ঘুষ নিয়েছিলেন সৌদি আরবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে সৌদি রাজপরিবারের এক সদস্যও রয়েছেন। একটি ফৌজদারি মামলায় প্রকাশিত নথির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কোম্পানিকে ৮০ লাখ পাউন্ড দিয়েছিল। ওই কোম্পানি প্রতিরক্ষা চুক্তির জন্য রাজপরিবারের সদস্যসহ সৌদি আরবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের গোপন অর্থ প্রদান করেছিল। ‘প্রজেক্ট অ্যারো’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় কোম্পানিটিকে অর্থ দিয়েছিল ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তর। ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিকে অর্থ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সৌদি আরবের কাছে ১৬০ কোটি পাউন্ডের সামরিক যোগাযোগ সরঞ্জাম সরবরাহের চুক্তি করতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি করেছিল ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তর। ওই সময় ‘স্যাংকম’ নামের চুক্তি করা হয়েছিল মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে। ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সৌদি প্রিন্স মিতেব বিন আব্দুল্লাহকে বিপুল অংকের অর্থ দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় পরবর্তীতে তদন্তে নেমেছিল ব্রিটিশ দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা সিরিয়াস ফ্রড অফিস (এসএফও)।

এসএফও-এর তদন্ত  চলাকালেই প্রিন্স মিতেব ২০১৪ সালে সৌদি কোম্পানি আরব বিল্ডার্স ফর টেলিকমিউনিকেশনস অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস (এবিটিএসএস) এর সাথে  ৮০ লাখ পাউন্ডের প্রজেক্ট অ্যারো চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তরকে বলেছিলেন। এবিটিএসএস এবং মিতেবের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তর ২০১৪ সালের আগস্টে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। ওই সময়ে এবিটিএসএস-কে অর্থপ্রদান করবেন কিনা তা বিবেচনা করছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড।

এ ঘটনার তিন বছর পর ২০১৭ সালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘দুর্নীতিবিরোধী’ অভিযানের সময় রিয়াদের রিটজ কার্লটন হোটেলে আটক হওয়া সর্বোচ্চ প্রোফাইল সৌদিদের একজন ছিলেন মিতেব। ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার পর মুক্তি পেয়েছিলেন মিতেব।

ব্যবসায়ী জেফরি কুক এবং জন ম্যাসনের বিচারের সময় এবিটিএসএস-এর সাথে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তরের চুক্তির নথিগুলি প্রকাশ হয়েছিল। এসএফও উভয়ের বিরুদ্ধে স্যাংকম চুক্তির অংশ হিসাবে মিতেবসহ কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল।