লেবানন থেকে ইসরায়েলে দফায় দফায় রকেট হামলা

লেবানন থেকে ইসরায়েলে দফায় দফায় রকেট হামলা

ছবিঃ সংগৃহীত।

লেবানন থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দফায় দফায় রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সকালে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলোতে লেবানন থেকে প্রায় ৭০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

তবে এসব হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি অঞ্চল এবং অধিকৃত গোলান এলাকা লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব রকেট হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়া অন্যান্য স্থানেও বেশ কিছু রকেট ছোড়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠন এবং ইসরায়েলের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত হামলা বেড়ে গেছে।

গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনিকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। দুপক্ষের এই সংঘাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেখিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ সংগঠন। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

এদিকে সোমবার গাজায় পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে। কিন্তু সেখানে মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। গাজার বিভিন্ন স্থানে মানবিক সহায়তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু গাজাবাসী যে পরিমাণ সহায়তা পাচ্ছে তা একেবারেই যথেষ্ট নয়।খাবারের জন্য সেখানকার লোকজন মরিয়া হয়ে উঠেছে। গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশেরও অনুমতি দিচ্ছে না।

ইসরায়েলি হামলার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। পবিত্র এই রমজানের শুরুতেও ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা। গাজাজুড়ে এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। আলোর মুখ দেখেনি যুদ্ধবিরতি চুক্তিও।

বিশ্বজুড়ে মুসল্লিরা তারাবি নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই রোজার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। কিন্তু পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের নামাজ আদায়ের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।