কিডনির যত্নে যেসব অভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি

কিডনির যত্নে যেসব অভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি

প্রতীকী ছবি

বিশ্ব কিডনি দিবস বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ)। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য সুস্থ কিডনি’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে দিবসটি পালিত হবে।

শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ কিডনি। কোনো ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কিডনির যত্ন নেওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। খারাপ কিছু অভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন।   

১. পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। একজন সুস্থ মানুষের দিনে ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। কিডনি পানির যোগান যত বেশি পাবে, তার শারীরবৃত্তীয় কাজে তত সুবিধা হবে। অতিরিক্ত মদ্যপানও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে।

২. কিডনিতে সংক্রমণের অন্যতম কারণ হলো প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এর ফলে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি।

৩. উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভালো রাখতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন। 

৪. ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়াও মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক, বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। 

৫. অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। কিডনিকে ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে এই অভ্যাস বদলাতে হবে। খুব বেশি চিনি খেলেও কিডনির ক্ষতি হয়। প্রক্রিয়াজাত খাবার কিংবা প্যাকেটজাত খাবারেও নুন ও চিনি বেশি মাত্রায় থাকে, তাই এগুলোও বেশি না খাওয়াই ভালো।