সহজ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এসি মিলান, কষ্টার্জিত জয় বেনফিকার

সহজ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এসি মিলান, কষ্টার্জিত জয় বেনফিকার

ফাইল ছবি

বাঁচা-মরার ম্যাচে রেঞ্জার্সের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে ইউরোপা লিগের শেষ আট নিশ্চিত করেছে আনহেল ডি মারিয়ার বেনফিকা। অন্যদিকে রাউন্ড অব সিক্সটিনের প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে আগেই এক পা দিয়ে রেখেছিল এসি মিলান। দ্বিতীয় লেগেও তাদের কাছে পাত্তা পায়নি স্লাভিয়া প্রাহা। ফলে সহজ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল এসি মিলান।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে ইউরোপা লিগে রাউন্ড অব সিক্সটিনের দ্বিতীয় লেগে স্লাভিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৩ ব্যবধানে জিতে পরের রাউন্ডে পা রেখেছে ইতালির জায়ান্টরা। অন্যদিকে প্রথম লেগে ২-২ গোলে ড্র করা বেনফিকা বাঁচা-মরার ম্যাচে রেঞ্জার্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেয়েছে।

ঘরের মাঠে ৪-২ ব্যবধানে জয়। তাই প্রতিপক্ষের মাঠে খুব একটা চাপ ছিল না মিলানের জন্য। পুরো ম্যাচে তারা খেলেছে আধিপত্য করেই। ৬২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১২টি শট নিয়ে ৬টিই গোলমুখে রেখেছিল লিয়াও-জিরুদরা। বিপরীতে ৮টি শট নিয়ে মাত্র ২টি গোলমুখে রাখতে পেরেছিল স্লাভিয়া।

এদিন শুরুতেই বড় হোঁচট খায় স্লাভিয়া। ক্যালাব্রিয়াকে বাজে ট্যাকল করে মাচের ২০তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার টমাস হোলস। ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্লাভিয়া। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় মিলান। শুরুটা করেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে বক্সে রায়ায়েল লিয়াওয়ের কাছ থেকে পাস পেয়ে বল জালে জড়ান যুক্তরাষ্ট্রের এ মিডফিল্ডার।

এর দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রুবেন লফটাস-চিক। লিয়াওয়ের সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন হার্নান্দেজ। পেনাল্টি এরিয়াতে পৌঁছে গেলেও তিনি গোলের উদ্দেশে শট না নিয়ে বাড়িয়ে দেন অরক্ষিত থাকা রুবেনকে। বাকি কাজটা সেরে নেন এ মিডফিল্ডার। বিরতিতে যাওয়ার আগে দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন লিয়াও। পাল্টা আক্রমণে উঠে পুলিসিকের পাস দখলে নিয়ে স্লাভিয়ার বক্সে ঢুকে পড়েন লিয়াও। পেনাল্টি এরিয়া থেকে নিঁখুত শটে খুঁজে নেন ঠিকানা। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ব্যবধানটা ৭-২। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে আধিপত্য ছিল মিলানের। তবে সেসব আক্রমণে ছিল না খুব একটা ধার। শেষদিকে স্লাভিয়ার হয়ে মাতেজ জুরাসেক একটি গোল করে ব্যবধান কমান। ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিলান।

অন্যদিকে ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ২-২ গোলে ড্র করে প্রতিপক্ষের মাঠে কিছুটা চাপে ছিল বেনফিকা। এদিন বল দখলে পিছিয়ে ছিল ডি মারিয়ারা। যদিও আক্রমণে দুদলই ছিল প্রায় সমানে সমান। রেঞ্জার্স গোলের উদ্দেশে ১২টি শট নিয়ে ৩টি গোলমুখে রেখেছিল। আর বেনফিকা ১৩টি শট নিয়ে ৪টি গোলমুখে রেখেছিল। দুদলের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬তম মিনিটে গিয়ে বেনফিকাকে আনন্দে ভাসান ডি মারিয়া-রাফা সিলভা জুটি। ডি মারিয়ার পাস দখলে নিয়ে জোরালো শটে রেঞ্জার্সের জাল কাঁপান রাফা। যদি এ গোল নিয়ে হয়েছিল নাটকীয়তা। প্রথমে অফ সাইডের বাঁশিতে বাতিল হয়ে গেলেও পরে ভিআর চেকে গোল পায় বেনফিকা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পর্তুগিজ ক্লাবটি। পিছিয়ে পড়ার পর অনেক চেষ্টা করেও ঘরের মাঠের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্স। কষ্টার্জিত জয়ে শেষ আটে পা রাখে বেনফিকা।