দেশের সব ডাকঘর হবে ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে’: পলক

দেশের সব ডাকঘর হবে ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে’: পলক

ছবি: সংগৃহীত

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে’ রূপান্তরিত করা হবে। বহুমাত্রিক সেবা বৃদ্ধি এবং পিপিপি’র আওতায় স্মার্ট সার্ভিস সেবার মাধ্যমে ডাকঘরকে তরুণ-তরুণীদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের হাব-এ রূপান্তরিত করার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে খুলনার কয়রায় স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট চালু করা হয়েছে। এ মাসে আরও চারটি এবং আগামী মাসে আরও ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরিত করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশে সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরিত করা হবে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) ‘স্মার্ট প্লাটফর্মে’ বরিশালে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বরিশাল জিপিও ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডাকঘর অপরিহার্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। আজকের ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রতিটি মানুষে-মানুষে যোগাযোগের ব্যবস্থাও ডাক অধিদফতর করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠান দেশের প্রতিটি প্রান্তের প্রতিটি মানুষকে চেনে।

তিনি বলেন, জি-টু-জি ডাক সেবা এবং ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদানের পাশপাশি স্মার্ট সক্ষমতা তৈরির মানসিকতা ও বিদ্যমান ধ্যান ধারণার পরিবর্তন, স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহণ এবং স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।

‘২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের দিক-নির্দেশনায় দেশে ২০২১ সালে তথ্য-প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। জ্ঞানভিত্তিক একটি স্মার্ট সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডাক অধিদফতরের ভূমিকা অপরিসীম,’ বলেন তিনি।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদানের যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহনে ডাকঘর হবে সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি সেবা থেকে সার্ভিস ডেলিভারি সেবায় রূপান্তরিত করতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তিনি বরিশালে রাত্রিকালীন ডাকঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল শামসুল আলম বক্তৃতা করেন।

পরে মন্ত্রী নব নির্মিত জিপিও ভবনের উদ্বোধন করেন।