চেন্নাইয়ের জয়ে মোস্তাফিজের ২ উইকেট

চেন্নাইয়ের জয়ে মোস্তাফিজের ২ উইকেট

সংগৃহীত

চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে সময়টা ভালো যাচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমানের। মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের তারকা পেসার রেখেছেন অবদান। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে বাঁহাতি পেসার পেয়েছেন ২ উইকেট। ৪ ওভারে ৩০ রানে তার পকেটে গেছে রশিদ খান ও রাহুল তেওয়াতিয়ার উইকেট।

ম্যাচ বিবেচনায় মোস্তাফিজের আজকের বোলিং ছিল আরো আঁটসাঁট। শুরুটা মন মতো না হলেও স্লগ ওভারে ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথম ২ ওভার করেছিলেন শুরুর ১০ ওভারে। কোনো উইকেট না পেয়ে রান দিয়েছিলেন ২৩। চেন্নাইয়ের অন্যান্য বোলাররা যেখানে নিয়ন্ত্রিত ছিলেন সেখানে মোস্তাফিজ শুরুর ২ ওভারে ছিলেন ব্যয়বহুল। 

তবে স্লগ ওভারে তার ভিন্নরূপ দেখা যায়। জাদু দেখান বল হাতে। দলের জয় যখন প্রায় নিশ্চিত তখন বোলিংয়ে আসেন। ১৬তম ওভারে এসে মাত্র ১ রান দেন। তুলে নেন রশিদ খানের উইকেট। ওভারে ডট বল ছিল ৪টি। এরপর ১৯তম ওভারে তেওয়াতিয়ার উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সাফল্য পান। ৭ রান খরচ করে তার বোলিং ফিগার হয় এমন, ৪-০-৩০-২। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন বোলিংকে আপ টু মার্ক বলা ছাড়া উপায় নেই।

গুজরাটের বিপক্ষে মোস্তাফিজকে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে ছিল শঙ্কা। কেননা শ্রীলঙ্কার পাথিরানা সুস্থ হয়ে চেন্নাইয়ে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ৪ উইকেট নিয়ে চেন্নাইয়ের প্রথম জয়ের নায়ক মোস্তাফিজকে সেরা একাদশেই রাখে আইপিএলের সবচেয়ে সফল দলটি।  দ্বিতীয় সুযোগটিও দুহাত ভরে নেন মোস্তাফিজ। পাথিরানাও খারাপ করেননি। ৪ ওভারে ২৯ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন দীপক চাহার ও দেশপাণ্ডে।

তবে চেন্নাইয়ের জয়ের নায়ক শীভাম দুবে। ২৩ বলে ৫১ রান করেন ২ চার ও ৫ ছক্কায়। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নিজেদের মাঠে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ২০৬ রান করে চেন্নাই। গুজরাট ওই রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দাপুটে পারফরম্যান্সে চেন্নাই ম্যাচ জেতে ৬৩ রানে। 

দুই ম্যাচে মোস্তাফিজ নিজের সামর্থ্য ভালোভাবে দেখিয়েছেন। চেন্নাইয়ের উইকেট তার বোলিংয়ের জন্য অনেকটাই আদর্শ। তার আসল চ্যালেঞ্জ চেন্নাইয়ের অ্যাওয়ে ম্যাচে। যেখানে তাকে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।